ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩০ জুন ২০১৫

পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ ভারত সরকার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ১শ’৭৫ মার্কিন ডলার বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় রমজান মাসে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছেন এ দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। বাংলাদেশে রমজানে যখন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে তখন ভারতের এ সিদ্ধান্তের বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে মনে করেন দেশীয় পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। যশোরের নওয়াপাড়ার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনন্দভা-ারের মালিক গোপাল দাস বলেন, ২শ’ ৫৫ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিকেজির দাম প্রকার ভেদে ২০/২৫ টাকা পড়েছিল। এ অবস্থায় নতুন করে ৪শ’ ৩০ ডলার মূল্যে আমদানি করলে কেজিপ্রতি দাম পড়বে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক হজরত আলী জানান, ভারত সরকার দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের আমদানিব্যয় আরও বেড়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে দেশীয় পেঁয়াজের বাজারে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই অস্থিতিশীল। এখন দেশী পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। গত শুক্রবার ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (ন্যাফেড) প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ১শ’ ৭৫ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪শ’ ৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকরা বলছেন, তাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা ঠেকাতে রফতানি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এ্যান্ড ফরোয়াড়িং স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, নতুন মূল্যে পেঁয়াজ রফতানির নির্দেশনা দিয়ে একটি ফ্যাক্স বার্তা রবিবার-এ কলকাতা থেকে পেট্রাপোল এলসি স্টেশনে পৌঁছেছে। তিনি আরও জানান, গত মাস থেকে ভারতে পেঁয়াজের সঙ্কট চলছিল। দক্ষিণ ভারতের নতুন পেঁয়াজের আগমনও পেঁয়াজের মূল্য কমাতে পারেনি। ফলে রফতানি নিরুৎসাহিত করে ভারতের স্থানীয় বাজার ঠিক রাখতেই সরকারের পরামর্শে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ন্যাফেড।
×