ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার পেলেন মুনতাসীর মামুন

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩০ জুন ২০১৫

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার পেলেন মুনতাসীর মামুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শতবর্ষের সম্মানীয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পুরস্কার পেলেন মুনতাসীর মামুন। প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসেবে ড. মুনতাসীর ভারতের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক ‘ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক পুরস্কার ১৪২২’ এ ভূষিত হলেন ঐতিহাসিক, কলামিস্ট ও লেখক ড. মুনতাসীর মামুন। বাংলা ভাষায় গবেষণার পীঠস্থান বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ স্থাপিত হয়েছে ১৮৯৯ সালে। পরিষৎ গত ২৮ জুন এই বছরের স্মারক পুরস্কার ঘোষণা করে। আগামী ৮ শ্রাবণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ ২৫ জুলাই ২০১৫ শতবর্ষের এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবসে বরেণ্য এই গবেষকের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, অধ্যাপক মামুনের পূর্ববঙ্গের সমাজ সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষণা বিশেষ করে ১৪ খ-ের উনিশ শতকে বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িক পত্র গ্রন্থের জন্য তিনি এই মনোনয়ন পান। অভিন্ন বাংলার তৎকালীন সামাজিক ইতিহাসের কয়েক হাজার পাতার এই আকর গ্রন্থগুলো গবেষক থেকে সাধারণ পাঠক সবার কাছেই আদৃত হয়েছে। ড. মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালের ২৪ মে ঢাকার ইসলামপুরে নানার বাড়িতে। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার গুলবাহার গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মিসবাহউদ্দিন এবং মায়ের নাম জাহানারা খান। পিতামাতার তিন পুত্রের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ। মুনতাসীর মামুনের শৈশব-কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের চাঁটগায়। চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাস্ট প্রাইমারী ও হাইস্কুলে এবং চট্টগ্রাম কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন। ১৯৬৮ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। ১৯৭২ সালে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন এবং একই বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। স্বাধীনতার পর ইতিহাস বিভাগ থেকে তিনিই প্রথম পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। অধ্যাপক মামুন গত চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। কৈশোর থেকে লেখালেখির সঙ্গে জড়িত হয়ে ১৯৬৩ সালে পাকিস্তানে বাংলা ভাষায় সেরা শিশু লেখক হিসেবে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার পর অনুবাদ, চিত্র সমালোচনা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচনা করেন অনেক বই। তাঁর লেখালেখি ও গবেষণার বিষয় উনিশ, বিশ ও একুশ শতকের পূর্ববঙ্গ বা বাংলাদেশ ও ঢাকা শহর। তিনি এর আগে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার, একুশে পদক (২০১০), নূরুল কাদের ফাউন্ডেশন পুরস্কার, হাকিম হাবিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।
×