ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ভিয়েনায় চূড়ান্ত আলোচনা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৯ জুন ২০১৫

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ভিয়েনায় চূড়ান্ত আলোচনা

ইরান তিনটি শর্ত মেনে নিলে পারমাণবিক প্রকল্প বিষয়ে একটি ‘পরিপূর্ণ’ চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াস। খবর ওয়েবসাইটের। ভিয়েনাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাবিয়াস বলেন, আমরা এমন একটি দৃঢ় চুক্তি চাই যেখানে ইরানের বেসামরিক কাজে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকার স্বীকৃত হবে। কিন্তু ইরান কোনভাবেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না এমন নিশ্চয়তাও চুক্তিতে থাকতে হবে। এজন্য তিনটি অপরিহার্য শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলোÑ পরমাণু নিয়ে ইরানের গবেষণা ও উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি সীমাবদ্ধতা আরোপ করা, পরমাণু প্রকল্পগুলোতে কঠোর নজরদারি (প্রয়োজনে সেনাবাহিনী আরোপ) এবং যদি ইরান চুক্তির কোন শর্ত লঙ্ঘন করে তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দেশটির ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। ইরানের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ে বিশ্বের শক্তিধর ছয় দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, যক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়া) একটি চুক্তিতে উপনীত হতে চাইছে। যদি চুক্তি হয় সেক্ষেত্রে ইরানকে অন্তত ১০ বছরের জন্য তাদের পরমাণু প্রকল্পের কার্যক্রম কমিয়ে ফেলতে হবে। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অনেকাংশ তুলে নেয়া হবে। এপ্রিলে এ বিষয়ে একটি খসড়া চুক্তি হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হতে হবে। চূড়ান্ত আলোচনার জন্য শনিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠক করেন উভয়পক্ষের কূটনীতিকরা। একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তিতে উপনীত হতে হলে এখনও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, এখনও আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের সামনে খুব কঠিন কিছু বিষয় পড়ে রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, আমিও একমত। একটি চুক্তিতে উপনীত হতে আমাদের আসলেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। মূলত চুক্তি হলে কখন বা কতটা দ্রুত ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে এবং ইরান তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে কিনা সেটা ঠিক কি পন্থায় নজরদারি করা হবে সে বিষয়ে একমত হতে পারছে না উভয়পক্ষ।
×