ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে মহারশি নদীর বাঁধই এখন মরণফাঁদ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৯ জুন ২০১৫

শেরপুরে মহারশি নদীর  বাঁধই এখন মরণফাঁদ

নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার তোড়ে মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ ভবন, সদর বাজার ও আশপাশের ১০-১২টি গ্রাম। মহারশী নদীর দু’কূল উপচে ওই সব এলাকার ক্ষেতের ফসলাদিসহ বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এতে কয়েকটি গ্রামের লোকজন চরম উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ফি বছরই ওই অবস্থার সৃৃষ্টি হয়ে খোদ বেড়িবাঁধটিই এলাকাবাসীর মরণফাঁদে পরিণত হলেও স্থানীয় দায়িত্বশীল মহলসহ প্রশাসন রয়েছে একেবারেই নীরব। জানা যায়, দীর্ঘদিন পূর্বে নির্মিত মহারশি নদীর বেড়িবাঁধটি সংস্কারের জন্য ২-১ বছর পরপরই পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে মোটা অংকের বরাদ্দ এলেও বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০ ভাগের বেশি ব্যবহার না করে কাজ করার দরুণ যেমন বাঁধ তেমনই থেকে যায়। বেড়িবাঁধটি সংস্কারের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর অফিসকে ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা ওই নদী থেকেই শ্যালোমেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নামমাত্র কাজ করে সমুদয় বিল তুলে নেয়। বাঁধে মেশিন দ্বারা উত্তোলিত বালু সামান্য বৃষ্টির পানিতে এবং পাহাড়ী ঢলের আঘাতে পুনরায় নদীতে চলে যায়। ফলে নদীর যে বিধ্বস্ত পাড় সে পাড়ই থেকে যায়। পাহাড়ী ঢলের স্রোতে নদীর বিশেষ করে শালচুড়া, নলকুড়া, ডাকাবর, রামেরকুড়া, দিঘীরপাড়, চতল, জিগাতলা ও বনগাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজনদের চরম উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। ওই সব গ্রামগুলোর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে ডাকাবর, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া ও দিঘীরপাড়ের কিছু অংশ। বেড়িবাঁধসংলগ্ন বাড়িঘরগুলো এখন চরম হুমকির সম্মুখীন।
×