স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপীল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সপ্তম দিনের মতো শুনানি হয়েছে। আজ আবারও শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সাকার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রবিবার সপ্তম দিনে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য-জেরা উপস্থাপনের আগে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত বিভিন্ন অভিযোগের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য-জেরা উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সালাউদ্দিন কাদেরের খালাস চেয়ে আপীল দায়ের করেন তার আইনজীবী। আপীল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ’ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রের ডকুমেন্টসহ দাখিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদ- প্রদান করেন। সর্বমোট ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩ অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আর বাকি ১৪ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চারটিতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। তিনটি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে ২০ বছর এবং আরও দুটি অভিযোগের প্রতিটিতে পাঁচ বছর করে কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। যে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলো হলোÑ অধ্যক্ষ নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে গণহত্যা, রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০-৫৫ জনকে গণহত্যা এবং চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা।