ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন প্রতিবেদনের চেয়েও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ রিপন

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২৮ জুন ২০১৫

মার্কিন প্রতিবেদনের চেয়েও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ ॥ রিপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র তার চেয়েও ভয়াবহ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ অভিযোগ করেন। রিপন বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট দেশের জন্য অবশ্যই নেতিবাচক। বিরোধী দল বলেই বিএনপি এই নেতিবাচক প্রতিবেদনে উল্লসিত নয়। তবে আমাদের প্রশ্ন কেন বাংলাদেশ সম্পর্কে এ ধরনের নেতিবাচক চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচার হবে। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে বাংলাদেশে যে সরকার এখন দেশ শাসন করছে তা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না। সম্ভবত এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তা মনে করেন না। সে কারণেই তিনি নির্বাচনের পর পর বলেছিলেন খুব দ্রুত সময়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। রিপন বলেন, দেশে জরুরী অবস্থা নেই। তারপরও গণমাধ্যমকর্মীরা নিজ থেকেই অনেক কিছু সেন্সর করেন। মিডিয়া যখন ভয়ভীতির মধ্যে কাজ করে তখন তা প্রকৃত গণমাধ্যম হতে পারে না। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সংসদ বহাল আছে তার মধ্যে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। বাকিরা ৫ ভাগেরও কম ভোট পেয়ে সংসদে গেছেন। সে কারণে এসব সংসদ সদস্য নির্বাচনের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে। রিপন বলেন, শুক্রবার ‘খুচরা পার্টি’ জাসদ নেতা ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়ার নাকি জায়গা হবে কাশিমপুর কারাগারে। জানি না, তিনি কবে বিচারক হলেন। আমরা বলছি না, ইনুর জায়গা হবে কুষ্টিয়া কারাগারে। কারণ আমরা বিচারক নই। রিপন বলেন, দেশে বোমাবাজি, সন্ত্রাসের জনক হচ্ছেন ইনুরা। তারাই এদেশে হত্যা-সন্ত্রাসের অপরাজনীতি শুরু করেছিলেন। এই ইনুরাই শেখ মুজিবের শাসনকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঝালাপালা করে দিয়েছিল। এদের কারণেই দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতি করলেও শেখ মুজিব একদলীয় বাকশাল শাসনের কলঙ্ক গায়ে মাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। ’৭৫-এর পর ইনুরাই দেশের সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সে অপরাধে সে গ্রেফতারও হয়। জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় তিনি আজও বেঁচে আছেন, রাজনীতি করছেন এবং ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার সুযোগ পাচ্ছেন। তা না হলে তার ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার কথা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, সানাউল্লাহ মিয়া, জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, আসাদুল করিম শাহীন, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার প্রমুখ।
×