ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৮ জুন ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্যসূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণেই বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। এছাড়া বাজারে জুন ক্লোজিংয়ের কিছুটা নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন। তবে খাতওয়ারি লেনদেনের আবারও ফিরে এসেছে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতটি। খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে। জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৩৬ কোটি ২১ লাখ ২২ হাজার ২৬ টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৬৪ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ২৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট। অপরদিকে শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। অন্যদিকে সিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫২ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০২ কোটি ২৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, দর কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, অলিম্পিক এ্যাক্সেসরিজ, ইফাদ অটোস ও এ্এফসি এ্যাগ্রো। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : হাক্কানী পাল্প, স্টাইল ক্রাফট, ফাস্ট বাংলাদেশ প্রথম ইনকাম ফান্ড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, ঢাকা ডাইং, আনলিমা ইয়ার্ন, এএফসি এ্যাগ্রো বায়োটেক, এইচ আর টেক্সটাইল, মুন্নু সিরামিক ও ৩য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জিকিউ বলপেন, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, দেশ গার্মেন্টস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রগেসিভ লাইফ ও সোনালী আঁশ।
×