ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৮ জুন ২০১৫

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধে ক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ জুন ॥ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সরকারী নির্দেশ অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা স্থগিত রাখার অভিযোগ উঠেছে। জেলার ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার সরকারী বিধিমালা ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিবার্তা লাল বইয়ে নাম থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে তাদের সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে না। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী জেলখানার খাপাড়া ওয়ার্ড আন্দোলনের অন্যতম নেতা গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আমিনুল ইসলাম বাদশা (প্রয়াত)। যিনি পাবনায় প্রথম মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ভারতের শরণার্থী শিবিরের সংগঠক ছিলেন। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সব মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে কিংবা প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে তাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে যাচাই-বাছাইয়ের অজুহাতে মুক্তিবার্তা লাল তালিকায় নাম থাকলেও চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে সম্মানী ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে এ মুক্তিযোদ্ধাদের। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকার স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার মানদ- অনুযায়ী মুক্তিবার্তা লাল তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা, অমল কৃষ্ণ গোস্বামী, রবিউল ইসলাম রবি, জহুরুল ইসলাম মুকুল, হেলাল উদ্দিনের নাম রয়েছে যার মুক্তিবার্তা তালিকা নম্বর যথাক্রমে ০৩১১০১০৪৯৫, ০৩১১০১০৪৩৪, ০৩১১০১০৪৯৭, ০৩১১০১০৪৯৬ এবং ০৩১১০১০৪৯৮। এছাড়া অপর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত সনদ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা অমল কৃষ্ণ গোস্বামী, রবিউল ইসলাম রবি, জহুরুল ইসলাম মুকুল ২০১০Ñ১১ অর্থবছর থেকে সম্মানী ভাতা পেয়ে আসছেন। কিন্তু ২০১৩ সালে প্রকাশিত গেজেটে (যা ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বাতিল করা হয়) নাম থাকায় সম্মানী ভাতা প্রদান আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, আবুল কাশেম বলেন, “উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদানে কোন বাধা নেই। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছে। আমি এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জিত। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে”। তবে যাচাই-বাছাই কমিটির অপর সদস্য ও ডেপুটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বাতেন জানান, “মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে যাচাই-বাছাই কমিটি ভাতা বন্ধ করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে আবার ভাতা দেয়া হবে। এটাই যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত।
×