ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে চিকিৎসক নিহত

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৮ জুন ২০১৫

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে চিকিৎসক নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৭ জুন ॥ সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামে খাস জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শনিবার সকালে অনিল কুমার সরকার মুংলু (৫০) নামে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ৫ জন। তিনি ওই গ্রামের মহেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের জামুডাঙ্গা গ্রামে খাস জমি নিয়ে অনিল কুমারের সাথে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সিদ্দিক মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সিদ্দিক মিয়া তার লোকজন নিয়ে ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে অনিল কুমার ও তার লোকজন বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু“ হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় অনিল কুমারসহ ৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা অনিলকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনিলকে মৃত ঘোষণা করেন। রূপগঞ্জে ঘের দখল নিতে হামলা ॥ আহত ৬ নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে নিরীহদের মাছের ঘের দখলে নিয়ে তা-ব চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করায় নিরীহদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। জানা যায়, বরুনা এলাকার সোলায়মান মিয়া নিজেদের জমিতে বর্ষার পানিতে ঘের দিয়ে মাছের চাষ করেন। একই এলাকার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আযহারুল ইসলাম মানিক কয়েকদিন ধরে ওই মাছের ঘের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। শনিবার দুপুরে আযহারুল ইসলাম মানিকসহ তার লোকজন মাছের খামারের ঘের কেটে দেন। এতে করে খামারে থাকা মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। আযহারুল ইসলাম মানিকসহ রিপন, শরীফ, শামীম, রকমত উল্লাহ, আকবরসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোলায়মান মিয়াসহ তার আত্মীয়স্বজনদের চারটি বাড়িঘর ও একটি অফিস কক্ষে হামলা-ভাংচুর চালায়। দৌলতপুরে খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭ নিজস্ব সংবাদদাতা দৌলতপুর, কুষ্টিয়া থেকে জানান, দৌলতপুরে কেরম খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউপি’র পাকুড়িয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পাকুড়িয়া গ্রামের গনির দোকানে কেরম খেলার সময় রনি ও পিকলুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন দেশীয় ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
×