ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২৮ জুন ২০১৫

ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার এ বহিষ্কার আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবীব জানান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী মে মাসে উপাচার্যের কাছে সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন। এরপর তিনি গত ১৯ জুন একই অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যে কারণে গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য সভা আহ্বান করেন। সভায় আইন উপদেষ্টাদের পরামর্শে তিনি নিজ ক্ষমতাবলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেন। শনিবার দুপুর পৌনে তিনটায় ওই আদেশ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য সাতদিনের সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য। নির্যাতিত ওই ছাত্রীর অভিযোগ ২০১৩ সালে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসান তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। এরপর প্রেম প্রস্তাব করেন। রাজি না হলে তাকে ফেল করানোর ভয় দেখানো হয়। চুপচাপ থাকায় হঠাৎ একদিন মাহফুজ মেয়েটির শহরের ভাড়া বাসায় গিয়ে হাজির হয়। তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। বিষয়টি লোকজনকে জানিয়ে দিতে চাইলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। কিন্তু মাহফুজ তাকে বিয়ে করেনি। দিনাজপুরে শিক্ষক গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, বীরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগে নজমুল হক (৪০) নামে এক শিক্ষককে শনিবার সকালে আটক করেছে পুলিশ। আটক নজমুল হক উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হকের পুত্র এবং গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বীরগঞ্জ থানার এএসআই বাবুল হোসেন জানান, গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ২৮ মে সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করাসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটিসহ প্রধান শিক্ষককে জানানো হলে, বিভিন্ন অজুহাতে তারা সময় ক্ষেপণ করে। অবশেষে ছাত্রীর বাবা রেজাউল হক বাদী হয়ে শনিবার সকালে বীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। বীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
×