ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জন দুর্ভোগ চরমে

পাবনা ও নওগাঁয় রাস্তা বেহাল

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২৮ জুন ২০১৫

পাবনা ও নওগাঁয় রাস্তা বেহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ জুন ॥ পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মহল্লার পুরাতন এতিমখানা সড়ক, তালবাগানপাড়া ও গোরস্থানপাড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। নিচু ও ভাঙা রাস্তা, কাঁচা ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর ডাস্টবিন না থাকার কারণে রাস্তার ওপর ময়লা আর্বজনা দূষিত পানি জমা হয়। কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ডুবে গেছে শালগাড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। অসহায় হয়ে পড়েছে শালগাড়িয়া পৌর এলাকার ৭-৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে অযতœ অবহেলায় গুরুত্বপূর্ণ পুরাতন এতিমখানা সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শালগাড়িয়া বাইপাস থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ ঈদগাঁ মাঠের সম্মুখে শেষ হয়েছে ৭-৮নং ওয়ার্ডের সীমানা সড়কটি। এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ১০-১২ বছর এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত হয়নি। অনেকবার কাউন্সিলর এবং মেয়রকে বলা হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বৃষ্টি হলে বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। রাস্তায় সব সময় পানি জমে থাকে। নোংরা পানি পাড়ি দিয়ে মানুষ কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করতে হয়। প্রথম শ্রেণীর পৌর সভায় শালগাড়িয়া বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর রবিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও সমস্যাটির সমাধান করা যাচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এ এলাকার সড়ক মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে। পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই ওই এলাকা ঘুরে এসেছি আমাদের নতুন রাস্তা এবং ড্রেনের কাজ চলছে। শালগাড়িয়া অঞ্চলটা নিচু আমি চেষ্টা করছি পানি ইছামতি নদীতে দেয়ার জন্য। আর পুরাতন এতিমখানা এলাকার রাস্তা আমি দেখেছি। রাস্তার কাজ করার আগে ড্রেনের কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট উন্নয়নে একটু সময় লাগবে। নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, থেকে জানান ধামইরহাটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এতে জেলার পথচারীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ধামইরহাট পৌরসভার সামনে আমাইতাড়া-আগ্রাদ্বিগুণ সড়কের ফার্শিপাড়া মোড় পর্যন্ত অংশ দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় ওই সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ব্যস্ততম মোড় আমাইতাড়ার ওপর দিয়ে উমার, আলমপুর, খেলনা, আগ্রাদ্বিগুণ ও পৌর এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী সাপাহার ও পোরশা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে সড়কটি সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব গর্ত পানিতে ভরে যায়। অনেক সময় যানবাহন ও পথচারী এসব গর্তে নাকানী-চুবানী খেতে হয়। তাছাড়া পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার পানি বর্তমানে ওই রাস্তার ওপর জমা হচ্ছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বলেন, রাস্তাটি জলাবদ্ধতা হওয়ার কারণে মুসল্লিদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ধামইরহাট এম এম ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বলেন, সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন। তবে যেহেতু পৌরভবনের একেবারে সম্মুখে, সেহেতু পৌর কর্তৃপক্ষের ওই রাস্তার সংস্কার করা দরকার। ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান বলেন, সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন হলেও এলাকার নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ষার পরই কাজ শুরু হবে।
×