ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সমৃদ্ধির মহাসড়কে খালেদার স্থান হবে না ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৮ জুন ২০১৫

দেশের সমৃদ্ধির মহাসড়কে খালেদার স্থান হবে না ॥ ইনু

সংসদ রিপোর্টার ॥ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিকে ‘গণতন্ত্রের অচল মাল’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, দেশের সমৃদ্ধির মহসড়কে খালেদা জিয়ার কোন স্থান হবে না। উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খালেদা নিজেই নিজেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। আগামী নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল করার সুযোগ নেই। তাই খালেদা জিয়ারও অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে সুযোগ দিলে গণতন্ত্রের উপর দুর্যোগ নেমে আসে, গণতন্ত্রের ওপর ছোবল মারে। যেমনটি মারছে জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীবাদীরা। তিনি বলেন, সাজানো বাগানে শুকর ছেড়ে দিলে সেই বাগান তছনছ করে দেয়। বর্তমানে গণতন্ত্রে কোন ঘাটতি নেই, আছে বিষফোঁড়া। গণতন্ত্রের বিষফোঁড়াই হচ্ছে জামায়াত-জঙ্গীরা। এসব বিষফোঁড়া ছোটখাটো অপারেশনের মাধ্যমে বাদ দিতে হবে। এতে আমাদের একটু কষ্ট হবে। তবে আমরা এদের কোনভাবেই ছাড় দিতে পারি না। হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, তাতে বাংলাদেশে পাকিস্তান মার্কা, সামরিক সরকার মার্কা, জামায়াত মার্কা রাজনীতি আর হবে না। সেই দিন শেষ। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার রাজনীতি আর হবে না। শেখ হাসিনা দেশকে যে সমৃদ্ধির মহাসড়কে টেনে তুলেছেন সেই মহাসড়কে খালেদা জিয়ার জায়গা নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প ‘আগুন-সন্ত্রাসী’ কখনই নয়। গণতন্ত্র উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খালেদা নিজেই নিজেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। খালেদাকে জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনি না বুঝলেও দলের নেতা-কর্মীরা ও জনগণ বুঝে গেছে। এটাও বুঝে গেছে আপনি যতই লম্ফঝম্প করেন না কেন আগুনে মানুষ পোড়ানো অপরাধে জনগণের আদালত থেকে রেহাই পাবেন না। আপনি যতই কৌশল বদলান না কেন, যতই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন না কেন আপনার রাজনীতির ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে। আপনাকে রাজনীতির বাইরে থাকতে হবে এবং আদালতের বারান্দায় যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকে ফ্যাশন করে বলেন, গণতন্ত্রে ঘাটতি আছে! কিন্তু গণতন্ত্র মাপবেন কি দিয়ে? বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে? এখানেও গণতন্ত্রের কোন ঘাটতি নেই। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের স্বর্ণযুগ পালন করছি। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ইনু আরও বলেন, শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষর করেছেন তার মধ্যে কোন চুক্তি স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, অর্থনীতি বিরোধী আপনি (খালেদা) বলুন? আপনি কাল যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে কোন চুক্তিটি বাতিল করবেন বলুন? বাস্তবে আপনি একটিও বাতিল করতে পারবেন না। কারণ এসব চুক্তি দেশের জনগণের স্বার্থেই হয়েছে। খালেদাসহ যারা এনিয়ে সমালোচনা করছেন তারা হয় বোকা-মূর্খ আর না হয় জ্ঞানপাপী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও কয়েক বছর দেশ পরিচালিত হলে এই সংসদে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
×