ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বেজিংয়ের সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ নির্মাণ শান্তির প্রতি হুমকি

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৮ জুন ২০১৫

দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ নির্মাণ শান্তির প্রতি হুমকি

যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দ্বীপ নির্মাণ উদ্যোগকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার আচরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ কূটনীতিক। চীনের সামরিক শক্তিবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন জাপান আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় বৃহত্তর ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত টহলে মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে যোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বলে এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর ওয়েবসাইটের। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিরাট ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি এক হুমকি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধপূর্ণ এ সাগরে পরস্পরবিরোধী দাবির যথার্থতার বিষয়ে কোন অবস্থান নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কিভাবে সে দাবিগুলো কার্যকর করা হচ্ছে সে ব্যাপারে এবং নৌচলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রয়েছে। তিনি বলেন, চীন ও সকল দাবিদারদের জন্য সামনে যাওয়ার পথ হচ্ছে, তাদের ভূমি পুনরুদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করতে হবে এবং তাদের মধ্যে বিভেদের আইন অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। ব্লিংকেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটিতে এক ভাষণে বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগর দু’ এলাকাতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, এক তরফা শক্তি প্রয়োগ করে স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা চলছে এবং এটা সীমা লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের সহযোগীরা এ সীমা লঙ্ঘনের বিরোধী। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো এলাকায় চীনের অধিকার রয়েছে বলে তাদের দাবি। চীন বলেছে, সেখানে দ্বীপ নির্মাণে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিচি এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর বলেছেন, সমুদ্রে নৌচলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত রয়েছে। এ সমুদ্র পথে প্রতিবছর ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ব্যবসা হয়। এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি দেখানোর আবরণ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর ব্যাপক সাইবার আক্রমণকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন এ মন্তব্যগুলো করা হচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান জেমস ক্ল্যাপার বৃহস্পতিবার বলেছেন, পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের অফিসের ওপর হ্যাকিংয়ের জন্য চীন সন্দেহের শীর্ষে রয়েছে। এই প্রথম ওবামা প্রশাসন হ্যাকিংয়ের জন্য প্রকাশ্যে অভিযুক্ত করল বেজিংকে।
×