ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেলওয়ের পাকশী বিভাগে ১৬ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৭ জুন ২০১৫

রেলওয়ের পাকশী বিভাগে ১৬ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী ॥ রেলওয়ে পাকশী বিভাগে চলাচলকারী ব্রডগেজ ৯৬টি ইঞ্জিনের বেশির ভাগই অর্থনৈতিক সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরও কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতার কারণে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ক্ষেত্রে ১৬ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে! পাকশী বিভাগের লোকোশেডগুলোতে মানসম্মত ট্রিপ ইন্সপেকশন, শিডিউল মোতাবেক মেরামত এবং চালক (এলএম), সহকারী চালকদের (এএলএম) নিয়মিত ইন-হাউজিং ট্রেনিং ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়ায় এ রেকর্ড ভঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে। ১৬ বছরে পাকশী বিভাগে ইঞ্জিন বিকল হয়েছিল ১০৭৭টি, চলতি বছরে জুন পর্যন্ত একটি ইঞ্জিনও বিকল হয়নি। পথিমধ্যে কোথায় ইঞ্জিনের ত্রুটি দেখা দিলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চালক (এলএম), সহকারী চালকরা (এএলএম) নিজেরাই তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করে ফেলছেন। ফলে বাধাহীনভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত ও যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ম্যাকানিক্যাল প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বশীল সূত্রের দেয়া তথ্যে এসব জানা গেছে। সূত্র মতে, রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বিভিন্ন রুটের মধ্যে চলাচলকারী ৯৬টি ব্রডগেজ ইঞ্জিনের মধ্যে বেশির ভাগেরই অর্থনৈতিক বয়সকাল অতিক্রান্ত হয়েছে অনেক আগেই। এ কারণে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেনচলাচল বন্ধ থেকেছে। কোন কোন সময় মেরামত করতে অনেক সময় পার হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁহাতে হয়েছে। এতটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে সচল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত ট্রেনকেও আটকে থাকতে হয়েছে। গত ১৯৯৮ সালে রেলওয়ে পাকশী বিভাগে ইঞ্জিন বিকল হয়েছে ১৪৫টি, ১৯৯৯ সালে ১৩৩টি, ২০০০ সালে ৭১টি ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এমনি ভাবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ইঞ্জিন বিকল হয়েছে ১০৭৭টি। কিন্তু পাকশী বিভাগীয় মেক্যানিক্যাল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আপ্রাণ চেষ্টার ফলে চালক ও সহকারী চালকদের ইন-হাউজিং ট্রেনিং ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে তোলা হয়েছে। একইভাবে লোকেশেডগুলোতে ট্রিপ মানসম্মত ইন্সপেকশন, শিডিউল মেরামত কাজ জোরদার করা হয়। এতে পথিমধ্যে কোথাও কোন ইঞ্জিনের সমস্যা সৃষ্টি হলে চালকরাই তাৎক্ষণিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনকেই ত্রুটি মুক্ত করে ট্রেন চালাতে সক্ষম হচ্ছে। যা মেক্যানিক্যাল বিভাগের একটি বড় অর্জন। শুধু চালক, সহকারী চালকদের প্রশিক্ষণ এবং লোকোশেডগুলোতে ট্রিপ ইন্সপেকশন ও শিডিউল মেরামত জোরদার করার কারণেই বেশির ভাগ ইঞ্জিনের অর্থনৈতিক সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরও এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত রেলওয়ে পাকশী বিভাগে ইঞ্জিন ফেল করেছে মাত্র ১টি।
×