ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার ভাঙ্গন থামলেও আতঙ্ক কাটছে না

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৭ জুন ২০১৫

পদ্মার ভাঙ্গন থামলেও  আতঙ্ক কাটছে না

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মার ভাঙন থামলেও আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু এলাকার নদীর ভাঙন আপাতত বন্ধ হয়েছে। সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই এ ভাঙনরোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে সেতু এলাকায় ভাঙন থামলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে লৌহজং, শ্রীনগর উপজেলার জনগণ। পদ্মা যে কখন তার ভয়াল থাবা দিবে তা নিয়ে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। পদ্মার পানি ফুসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এ দু’টি জনপদের লোকজনের চিন্তার শেষ নেই। এই বুঝি পদ্মা গর্জে ওঠে কেড়ে নেবে ভিটে মাটি সবকিছু। বর্ষা মৌসুমের শুরুতই উন্মত্ত পদ্মা ধারণ করতে চলেছে রাক্ষসী রূপ। প্রতিদিনই হজম করছে ফসলী জমি আর বাড়িঘর। প্রতিনিয়তই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আশপাশের এলাকার কোন না কোন পরিবার। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল বাজার, মান্দ্রা, বাঘরা, কবুতরখোলা, কেদারপুর, চারিপাড়া, মাগডাল গ্রাম লৌহজংয়ের কুমারভোগ, মাওয়া, কান্দিপাড়া. যশলদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙনের তীব্রতা না থাকলেও পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা ধীরে ধীরে ভয়াল রূপ ধারণ করছে। ভাঙন আতঙ্কে ভাগ্যকুল বাজার শতাধিক ব্যবসায়ী ও দোকানদার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত বর্ষায় ভাগ্যকুল বাজারের অর্ধেক পদ্মায় বিলীন হয়। এবার বাজারের বাকি অংশ রাক্ষুসী পদ্মার গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়রা জানায়, বর্ষায় পদ্মার ভাঙনের প্রধান কারণ নদী থেকে অপরিকল্পিত অবৈধ বালু উত্তোলন। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর মাঝখানে চর পড়ে। ফলে স্রোতের গতি তীরের দিকে তেড়ে আসে আর ভাঙন সৃষ্টি হয় বাড়িঘরে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান জানান, এ ভাঙন খুবই স্বাভাবিক। কারণ নদীর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে দু-একটি এলাকায় সামান্য ভাঙন দেখা দিয়ে থাকে। পদ্মা সেতু এলাকার ভাঙন তেমনি ঘটনা। এতে জনগণের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
×