ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে সড়ক চলাচলের অযোগ্য, খানাখন্দে ভরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৭ জুন ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে সড়ক চলাচলের অযোগ্য, খানাখন্দে ভরা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ বৃষ্টির পানিতে মুন্সীগঞ্জ শহরসহ সিরাজদিখান ও গজারিয়া উপজেলার রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভাড়া এ সব রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও জনগণ এসব পথে চলাচলে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের শহরের লাগঘেঁষা মুক্তারপুর জোরপুকুরপাড় থেকে মালিকপুর পর্যন্ত সড়কটি এখন চলাচল অনুপযোগী। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের এই অংশে বড় বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে পথ চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ধুলোবালি উড়ে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরের মানুষেরও যেন ত্রাহি অবস্থা। বাংলা নববর্ষের আগে এটি মেরামত করা হবে এমন কথা ছিল। কিন্তু শীত মৌসুম শেষ হয়ে এখন আবার বৃষ্টি বাদলের দিন চলে আসছে। মেরামতের খবর নেই। শহরের মুখের এই সড়কে দুরবস্থার কারণে পথচারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) রাস্তাটির এই করুণ দশা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটি চলাচল উপযোগী করতে কোন রকম উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বিভিন্ন পয়েন্টে পানি জমে থেকে পিস উঠে যাচ্ছে। তাই পানি নিষ্কাশন ড্রেন ব্যবস্থা বা আশপাশের পুকুর ডোবা ভরাটেও কোন বাধা নেই। তাই সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। মুক্তারপুরে পেট্রলপা¤প থেকে শহরের মুখে মানিকপুরের আলু গবেষণা কেন্দ্র (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) পর্যন্ত এই সড়কে রাতদিন চলাচল হাজার হাজার মানুষের। গড়ে অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এই সড়ক দিয়েই জেলার একমাত্র মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের অবস্থান। তাই রোগীদেরও যাতায়াত করতে হয়। মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে এবং জেলার টঙ্গিবাড়ী, সিরাজদিখান, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার লোকজনকে জেলা শহরে আসতে হয় ওই সড়ক দিয়ে। জেলা শহরের অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ নানা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতেও এই সড়কের বিকল্প নেই।
×