ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাবধান ॥ ঈদ বাজারে জাল টাকার ছড়াছড়ি

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৭ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে একশ্রেণীর অসাধুচক্র জাল টাকার ব্যবসায় নেমেছে। চক্রটি কৌশলে শত শত কোটি টাকার জাল টাকা বাজারে ছেড়ে আর্থিকভাবে মুনাফা লাভ করে নিজেদের পকেট ভারি করতে চায়। সাধারণত উৎসব-পার্বণ এলে জাল টাকার চক্রটি তৎপর হয়ে ওঠে। দেশব্যাপী এদের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদের চাহিদাকে সামনে রেখে জালনোট বাজারে ছেড়ে দেয় চক্রটি। শত শত চক্র বর্তমানে এ কাজে ব্যস্ত রয়েছে। জালনোট ব্যবসায়ীরা সাধারণত কয়েক ধাপে জাল টাকা বাজরে ছাড়ে। প্রথম ধাপে পাইকারি হিসেবে ১ লাখ জাল টাকার একটি বান্ডিল ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। দ্বিতীয় ধাপে টাকার পাইকারি কারবারিরা আবার এসব টাকা খুচরা কারবারির কাছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করে। তৃতীয় ধাপে খুচরা কারবারিরা এসব জাল টাকা নিয়ে লোকজনের মাধ্যমে সরাসারি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়। মাঠ পর্যায়ের কারবারিরা শহরের বিপণিবিতান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা গ্রামের হাট-বাজারে ছেড়ে দেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটই বেশি জাল করা হয়। জাল নোট কারবারিরা ঈদকে কেন্দ্র করে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্যে নেমেছে। সংবাদে আরও জানা যায়, চক্রটি এ বছর ৫০ কোটি টাকার জাল নোট বাজারের ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সচেতন মহল এসব জাল টাকা কিভাবে চিহ্নিত করা যাবে, সে প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে দিয়ে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। পরামর্শগুলো হলোÑ মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু খসখসেভাবে মুদ্রিত থাকে। এছাড়া নোটের ডানদিকে ১০০ টাকার নোটে ৩টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০০ টাকার নোটে ৫টি বৃত্তাকার রয়েছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু অনুভূত হয়। বর্তমানে মুদ্রিত ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের কাগজে ফ্লোরোন্টে ফাইবার বা ইউভি ফাইবার ব্যবহৃত হয়েছে যা আলোর অতি বেগুনী রশ্মির বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাল, নীল ও হলুদ রেখা দৃশ্যমান হবে এবং নোটের পেছন দিকে বাম পাশে খাড়াভাবে ‘ইঅঘএখঅউঊঝঐ ইঅঘক’ লেখা ৮ মিমি চওড়া ইরিভিসেন্ট স্ট্রাইপ আছে যা বাঁকাভাবে লড়াচাড়া করলে হলুদ থেকে নীল রঙ ধারণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঈদের কেনাকাটায় জাল টাকা প্রতিরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আশা করি। বর্ণা রহমান উত্তরা, ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কি ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে হবে? ২০১৪ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম যে, ২০১৫ সালের ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে বলা হয়েছিল, লাল মুক্তি বার্তায় এবং ভারতীয় তালিকায় অর্থাৎ ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করেছিল এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নাম, পিতার নাম ও স্থায়ী ঠিকানাসহ তালিকা ভারতে তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের তালিকা সরকারীভাবে প্রকাশ করা হবে। ঠিক এই বিষয় নিয়েই আমি দৈনিক জনকণ্ঠেসহ আরও কয়েকটি প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে আমি চিঠিপত্র বিভাগে লিখেছি এবং বলতে চেষ্টা করেছি যে, যুদ্ধকালীন যারা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে যুদ্ধের কৌশল এবং অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা নিয়ে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তালিকা তৈরি করেছে। সুতরাং সেই তালিকাটি প্রথমে প্রকাশ করা যেতে পারে। ১১ অক্টোবর-২০১৪ শনিবার, দৈনিক জনকণ্ঠের শেষের পাতায় প্রকাশ পেয়েছে যেÑ মির্র্জাপুর, টাঙ্গাইলে ১০ অক্টোবর, ২০১৪ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর (২০১৪) মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নতমানের সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেয়া হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, তালিকা আজও প্রকাশ পায়নি। স্মরণ করা যেতে পারে যে, বিগত সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে (মা’র নাম, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু) ডাটাবেজ তৈরিসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু কার্যত তার ফলাফল শূন্য। এ সময় সকল মুক্তিযোদ্ধা হতাশা প্রকাশ করেছিল, তালিকা না হওয়ায়। কোন কোন মাধ্যম থেকে বলা হচ্ছে যে, একাত্তরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের নিয়ে যৌথভাবে তালিকা তৈরির প্রচেষ্টা গ্রহণ করার। এখানে উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক যে, ওই সময়ের কতজন কমান্ডার অথবা সহকারী কমান্ডার এখনও বেঁচে আছেন? যারা বেঁচে নাই তাদের শূন্যস্থানে কারা এবং কিভাবে, কোন ক্ষমতায় তালিকা প্রণয়নে স্বচেষ্ট হবেন? এবং এই তালিকা কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে? বলা হচ্ছে যে, প্রত্যেক উপজেলায় কমিটি করে তালিকা তৈরি করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কাদের নিয়ে এই কমিটি হবে এবং ইতোমধ্যে যেসব কমান্ডারগণ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের স্থলে কাদের কমান্ডার হিসেবে নেয়া হবে? কারণ ওই মৃত্যুবরণকারী কমান্ডারগণই কেবল সঠিক জানতেন এলাকায় কারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। মোট কথা হলো, এই কমিটি যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, এই ৪৪ বছরে অনেক আঞ্চলিক কমান্ডার ও অনেক জেলা কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের স্বীকৃতি, ভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা না পেয়েই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এই ৪৪ বছরে কতজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন তার একটি তালিকা হয়ত দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে পাওয়া যেতে পারে (অবশ্যই যাদের মৃত্যুজনিত তথ্য পত্রিকায় দেয়া হয়েছে)। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুললে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর খবর দেখতে পাওয়া যায়। সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশাÑ তারা এই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড পাবেন। তবে এই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ডে সরকারের তরফ থেকে মুক্তিযোদ্ধাগণ কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তার সুস্পষ্ট উল্লেখও থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাগণ চায় না তালিকা নিয়ে আর কোন দীর্ঘসূত্রিতা হোক। নতুন এই তালিকা (প্রকাশের পর) অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সরকারী ‘চেক’ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া ঠিকানায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক। সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ্ আলম লালমাটিয়া, ঢাকা মেয়র সমীপেষু, চট্টগ্রাম মাননীয় মেয়র, আপনি দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা চট্টগ্রামবাসীর হৃদয় কেড়েছে। চট্টগ্রামবাসীকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী ও স্বপ্নের মেগাসিটি গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেজন্য চট্টলাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আমরা সাধারণ নগরবাসী মনে করি এই কর্পোরেশন হবে দল, মত, নির্বিশেষে সব গণমানুষের কর্পোরেশন। সব দলমতের মানুষ সমানভাবে গুরুত্ব পাবে নবনির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়রের কাছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে নগরবাসী তার সুফল ভোগ করবে। জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যা সাবেক মেয়র পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। নতুন মেয়রের নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রথম অঙ্গীকার জলাবদ্ধতা দূর করার। তবে দায়িত্ব গ্রহণ করার আগেই বর্ষা মৌসুম আসায় জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভবপর নয়। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা পরিকল্পিতভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে আশা করি মাননীয় মেয়র জলাবদ্ধতা অনেকখানি নিরসনে সক্ষম হবেন। রণজিত মজুমদার চট্টগ্রাম নিরাপদ সড়কের জন্য চাই রেলের উন্নয়ন বিশিষ্ট চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘদিন ধরে ‘নিরাপদ সড়হ চাই’ সেøাগান নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী হারিয়েছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায়। সেই থেকেই তিনি নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ফলাফল কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ আমরা সংবাদপত্র খুললেই দেখতে পাচ্ছি প্রতিদিন ১৫-২০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটানয় মারা যাচ্ছে। এর কারণটা কী? মহাসড়কে অসংখ্য গাড়ির চাপ, নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে গাড়ি চালনা, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি, ২ নম্বর ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি সবচেয়ে বড় যে কারণ সেটি আজও অনুদ্ঘাটিত। দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণে গিয়ে আমার চোখ খুলেছ। দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটলাম। গন্তব্য সিল্কসিটি কইমবেটর। এই শহরের অবস্থান তামিলনাড়ু রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে। কলকাতা থেকে এই শহরের দূরত্ব ২১৫৫ কিলোমিটার। ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে কলকাতা শহর থেকে টিকিট যোগাড় করেছি। টিকিটের গায়ে লেখা শালিমার স্টেশন থেকে এর যাত্রা শুরু হবে। দৌড়ে গেলাম ক্যাব ড্রাইভারের কাছে। ভাই, শালিমার স্টেশন কেতনা দূর হ্যায়। আমি রফিক আহম্মদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলে রয়েছি। বলল, শালিমার স্টেশন ২১ কিলোমিটার দূর হ্যায়। আমি প্রমাদ গুনলাম। এতদিন শুনে এসেছি হাওড়া কলকাতার রেলস্টেশন। এখানে শালিমার এলো কোত্থেকে? তাও আবার ২১ কিলোমিটার দূরে? সেখানকার নগরবিদরা রেলস্টেশনকে শহর থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গেছেন। আর আমরা শহরের একেবারে মধ্যখানে আলিশান এক স্টেশন করে বসে আছি। নাম তার কমলাপুর রেলস্টেশন। এ রকম আলিশান রেলস্টেশন দক্ষিণ ভারতের কোথাও দেখিনি। কিন্তু ভারতের রেলে যাত্রীদের সেবা দেয়ার যে ব্যবস্থা রয়েছে সেটি বাংলাদেশে কল্পনাতীত। সেখানে রেলের টয়লেটে টয়লেট পেপার, সাবান ও সার্বক্ষণিক পানির যে ব্যবস্থা রয়েছে সেটি কি আমরা বাংলাদেশের ট্রেনে পাচ্ছি? পাই না। সিটের অতিরিক্ত যাত্রী নেই। একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ। ব্রডগেজ ইলেক্ট্রিক ট্রেনে শব্দহীনভাবে দুই দিন দুই রাত পর আমার গন্তব্যে পৌঁছলাম। আমি ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করলাম এই ২১৫৫ কিলোমিটার পুরোটাই ডাবল লাইন। আরও লক্ষ্য করলাম যেখানেই ট্রেন হাইওয়ে ক্রস করেছে সেখানেই ফ্লাইওভার রয়েছে। আর আমাদের ট্রেনের হাল অবস্থা আমরা সকলে জানি। মিটারগেজ ট্রেন আমরা পৈত্রিকসূত্রে পেয়েছি, যার ধারণক্ষমতা ব্রডগেজ ট্রেনের অর্ধেক। এর পরিবর্তন-পরিবর্ধন আজ অবধি হলো না। মন্ত্রণালয় করার পর যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এই ট্রেনের সংস্কার ছাড়া আমাদের কোন গত্যন্তর নেই। সকল উন্নয়ন থমকে আছে ট্রেন ব্যবস্থার কারণে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব এখন সুবিদিত। ভারতকে কাজে লাগিয়ে আমদের রেল ব্যবস্থাকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আশা করি সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। নিরাপদ সড়ক তখনই সম্ভব হবে যখন বাংলাদেশের রেলকে ব্যাপক সংস্কারের আওয়াত আনা হবে। মিটারগেজ ট্রেনকে ব্রডগেজে রূপান্তর করতে হবে। সেইসঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশের ট্রেনলাইন ডাবল করতে হবে। তাহলে এ দেশের অর্ধেক যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে। সড়কের ওপর চাপ এমনিতেই কমে যাবে। দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষদের আর ভোগান্তি হবে না। ইলিয়াস ভাইয়ের আশা পূর্ণ হবে নিঃসন্দেহে। অতএব, ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনুরোধ করব তিনি যেন নিরাপদ সড়কের জন্য রেলকে আধুনিকায় করার ব্যাপারে আন্দোলনে নামেন। এ ব্যাপারে তিনি জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম খিলগাঁও, ঢাকা ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রায় এক হাজার ৩০০ আইটেমের ২৫ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাপে ২০০৮ সালের ২২ মে বংংবহঃরধষ ২০৯টি আইটেমের তালিকা করে। এই ২০৯টির বাইরে দাম নিয়ন্ত্রণ বা মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই তদারকি প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের। ফলে মালিককপক্ষ তাদের সুবিধামতো দাম বাড়িয়ে নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা লুটে নেয়। কিন্তু ১৯৯৪-এর এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম বা মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাকিগুলো শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ। পত্রিকান্তে প্রকাশ যে, নকল ওষুধ প্রস্তুতে জড়িত থাকায় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এক কর্মকর্তা কিছুদিন আগে গ্রেফতার হয়েছেন। বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক কর্মকর্তার অসাধু সম্পর্ক রয়েছে। জানুয়ারি ২০১৫ সালের টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩টি খাতে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ৫০০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। আমাদের সবার ধারণা, শুধু ছোট কোম্পানি ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুদের প্রস্তুত ও বিপণন করে থাকে। কিন্তু তদারকি প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৃহৎ কোম্পানি কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাদের প্রস্তুতকৃত ওষুধ বিপণন করে মাসে কোটি কোটি টাকা অর্থলোভী মালিকরা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে। দেশের অনেক নামকরা ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বাজারে সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাদের এ নিম্নমানের ওষুধের কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়ছে। অন্যদিকে দেশসেরা ওষুধ কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপরে বর্ণিত অভিযোগসমূহের যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দানে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উজ্জ্বল কুমার দাস উর্ধতন নির্বাহী মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আইডি নং : ৪৮০২ দেশের মানচিত্র ও কিছু কথা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র শাসন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সংবিধান, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন দেশের স্বীকৃত মানচিত্র। দেশের মোট আয়তন বিশেষ ক্ষেত্রে হ্রাস-বৃদ্ধি করার প্রয়োজনে মানচিত্রে বিবর্তন আসে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন লক্ষ্যে দেশের মোট আয়তনে হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে মানচিত্রেও পরিবর্তন আসবে। বিবর্তিত মানচিত্র নির্ভুল হতে হবে সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে। দেশের মানচিত্রের বাইরে চৌহদ্দি থাকা অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ মানচিত্রের চারদিকে তথা উত্তরে ভারতের বিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কুচবিহার, অসমের অংশবিশেষ ভাটিতে ঢাকার উত্তরে শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ওপরে অসম ও মেঘালয় রাজ্যের অংশবিশেষ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার জেলার উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘালয়, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গুরুত্বপূর্ণ জেলা, শহরের নির্দেশনা উল্লেখ থাকতে হবে। দেশ কোন কোন করিডোর পেল, কোন কোন অংশ পেল না সেসব নির্দেশনামূলক চিহ্ন আকারে রেখা টেনে স্পষ্ট করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের অংশ, নদ-নদী, সাগর চিহ্নিত থাকবে রেখার মাধ্যমে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৪ বছর আগে। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের ভেতরে, নদীভাঙন, ভূমিক্ষয়, আইলা, সুনামি, জলোচ্ছ্বাসে ভূমির পরিবর্তন হয়েছে। তাছাড়া নতুন নতুন সড়ক মহাসড়ক, রেললাইন ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এসব উল্লেখ থাকতে মানচিত্রে ১৯৪৭ স্বাধীনতা লাভ করার পর তথাকথিত পূর্ব পাকিস্তানের সার্বভৌম চিহ্নিতকরণে যে মানচিত্র অঙ্কিত হয়েছিল আজও সেটি বহাল রয়েছে। শুধু পূর্ব পাকিস্তানের জায়গায় বাংলাদেশ নামটি সংযোজন করা হয়েছে মাত্র। স্বাধীনতাপরবর্তী মানচিত্র অস্পষ্ট অসম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান যেট কাম্য নয়। র‌্যাডক্লিফ লাইন শুদ্ধরূপে টানতে হবে। উভয় দেশের ঐকমত্যে বর্ডার কমিশন প্রধান স্যার মাইরিল র‌্যাডক্লিফ অঙ্কিত শুদ্ধ মানচিত্র লন্ডনে র‌্যাডক্লিফ এ্যাওয়ার্ডে রক্ষিত আছে। সেই মানচিত্র অনুসরণ করে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে রেখা টানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পিলার পুঁততে হবে। ইতিপূর্বে সমুদ্র বিজয় হয়েছে, সে মোতাবেক মানচিত্রে সমুদ্র রেখাও আঁকা থাকবে। পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে সুন্দরবনের পশ্চিমে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর অবস্থান। হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী স্থান উভয় দেশের সীমান্ত রেখা নির্ধারিত। সুন্দরবনের একেবারে দক্ষিণে রায়মঙ্গল নদীর পশ্চিম-দক্ষিণে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর ভাটিতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মূল ভূখ- যার চারদিকে নদী ও সাগর। উত্তর তালপট্টির অবস্থান যেখানটায় সীমান্তরেখা মানচিত্রে স্পষ্ট আকারে দেখাতে হবে। এখানে র‌্যাডক্লিফ অঙ্কিত মানচিত্র অনুসরণ করা যেতে পারে। উত্তরে তেঁতুলিয়া থেকে সোজা উত্তর-পূর্ব কোণে শেষপ্রান্তে বাংলাবান্ধা দীর্ঘ ভূখ- ঘেঁষে মহানন্দা প্রবাহিত হলেও দেশের মানচিত্রে মূল ভূখ- ও নদীর রেখার দূরত্ব অনেক বেশি। ভূমি জরিপ অধিদফতর আগামীতে সীমান্ত এলাকাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে দেশের মানচিত্র শুদ্ধরূপে ছাপাতে হবে এবং সংশোধিত মানচিত্র জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হতে হবে। মেছের আলী শ্রীনগর
×