স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের দুই নারী শিক্ষক দীর্ঘ এক বছরেও কোন একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব না পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ওই দুই শিক্ষকের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রধানকে চিঠি দিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও বৃহস্পতিবার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপাচার্যকে পত্র দেয়া হয়। এদিকে খুবি কর্তৃপক্ষ ২৪ জুনের (মঙ্গলবার) মধ্যে অবজ্ঞার শিকার ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক লোপা ইসলাম ও ড. শিল্পী রায়কে একাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বলা হলেও ডিসিপ্লিন প্রধান তা না করে ওই পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁর পদত্যাগের আবেদন গ্রহণ করেননি। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
গত ১৯ জুন দৈনিক জনকণ্ঠে ‘অবজ্ঞার চোখে দুই নারী শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আরও নড়েচড়ে বসেন। ইউসিজি থেকেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে বৃহস্পতিবার খুবির ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রধানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সমস্যার সমাধান সংক্রান্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইউসিজিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এদিকে প্রফেসর ড. মোঃ আহসানুল কবীর ডিসিপ্লিন প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান বলেন, ইউজিসির চিঠি ফ্যাক্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছে। ইউআরপি ডিসিপ্লিন প্রধানের পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এ দু’জন শিক্ষক এক বছর আগে যোগদান করেছেন। তারা এখন আর নবীন নয়। তাদের দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে আইনগত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ভাঙ্গার ৩ ফেরিওয়ালা পদ্মায় নিখোঁজ
সংবাদদাতা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, ২৫ জুন ॥ ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের তিন ফেরিওয়ালা কামাল ফকির (৪৫) এবং দুই সহোদর জাকির মীর (৪৫) ও ওবায়দুর মীর (৩৫) পদ্মা নদীতে ৫দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার সকালে তারা রঙের কাজ করতে পিঁয়াজখালি থেকে ট্রলারে ওঠে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার পথে এ নিখেঁাঁজ হন।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে এলাকায় কাজ না থাকায়, রবিবার একই গ্রামের দুই ভাইসহ ৩ ফেরিওয়ালা রঙের কাজে সকালে বাড়ি থেকে বের হন। ঢাকার উদ্দেশে সদরপুরের পিঁয়াজখালির ঘাট থেকে একটি ট্রলারে ওঠেন।
বেলা আড়াইটায় কামাল ফকির নদীর মধ্যে ঝড়ের কবলে পড়েছেন বলে জানা যায়। কয়েক মিনিট পর মনির ফোন করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে আর মোবাইল খোলা ও খোঁজ মেলেনি ৩ ফেরিওয়ালার। পরিবারের লোকজনে বহু খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পাননি। এ ঘটনায় পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: