ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শরণখোলায় ভুলে ভরা অসম্পূর্ণ ও পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৬ জুন ২০১৫

শরণখোলায় ভুলে ভরা অসম্পূর্ণ ও পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় সরকারীবিধি উপেক্ষা করে কেনা প্রশ্নপত্র দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা। স্থানীয় শিক্ষক সমিতি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ যোগসাজস করে লাভের আশায় বাজার থেকে সিলেবাস বহির্ভূত এবং অসম্পূর্ণ প্রশ্নপত্র ক্রয় করে ২০১৫ সালের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া সমিতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করে শিক্ষার্থীদের মাঝে নি¤œমানের গাইড বই বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, শরণখোলা উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অধিকাংশ শিক্ষক কোন না কোনভাবে শিক্ষক সমিতি দ্বারা প্রভাবিত। এই সুযোগে সমিতির প্রভাবশালী একটি অংশ ব্যবসার উদ্দেশে প্রধান শিক্ষকদের ম্যানেজ করে প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রশ্নপত্র বিক্রি করছে যা সিলেবাস বহির্ভূত, ভুলে ভরা এবং অসম্পূর্ণ। তাফালবাড়ি স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১০ শেণীর ছাত্রী রাবেয়া আক্তার মিশু এবং একই শ্রেণীর মোঃ নাইম জোমাদ্দার জানান, অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় তাদের কম্পিউটার, উচ্চতর গণিত ও শারীরিক শিক্ষা সাবজেক্টে রচনামূলক (সৃজনশীল) প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয়নি। শুধু ৩৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের পরীক্ষা হয়েছে। রচনামূলক প্রশ্নপত্র আসেনি বলে তাদের জানানো হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল বুস্রা তুবা জানায়, তাদের গণিতের প্রশ্ন হয়েছে সিলেবাস বহির্ভূত। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তাদের ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রে কোন প্রশ্নই কমন পড়েনি। তাই তাদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হবে। তাফালবাড়ি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা হাফিজা বেগম জানান, হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষার নামে প্রহসন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র বাণিজ্যের শিকার হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছে। একই শ্রেণীর কারও পরীক্ষা হচ্ছে ৭০ মার্কসের কারও হচ্ছে ৩৫ মার্কসের। উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সিলেবাস অনুযায়ী কোন বিষয়েরই প্রশ্নপত্র হয়নি। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তাদের ছোট হতে হয়েছে। আগামীতে নিজেদের তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। চাঁপাইয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে জমি সঙ্কট নিরসন স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চার বছরের চলমান সঙ্কট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউমার্কেট মাছ বাজারেই নির্মিত হতে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। প্রায় চার বছর ঝুলে থাকার পর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সচিব চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে আট শতক জায়গা বরাদ্দ দিয়ে পৌর মেয়রকে নির্দেশ দেন তা হস্তান্তরের। ইতোমধ্যেই পৌর মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন নিউমার্কেট এলাকায় ৮ শতক মাটি বরাদ্দ দেবার ব্যাপারে স্থানীয় এমপি আব্দুল ওদুদ বিশ্বাসসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও তার পৌর পরিষদ নিয়ে মতবিনিময় করেন। জমি নিয়ে সকল সঙ্কট নিরসন করে মাটি ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন।
×