ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইউনুসের শততম টেস্টে পাকিদের ব্যাটিং বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৬ জুন ২০১৫

ইউনুসের শততম টেস্টে পাকিদের ব্যাটিং বিপর্যয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ইউনুস খান। ৩৭ বছর বয়সী এ ডানহাতি অভিজ্ঞ মিডলঅর্ডার পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন বৃহস্পতিবার। এদিন সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে সফরকারী পাকরা। তবে কলম্বোয় প্রথম দিন নিজের মাইলফলক অর্জনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন ইউনুস। মাত্র ৬ রানে ফিরে গেছেন সাজঘরে। সেই সঙ্গে দলের অবস্থাও শোচনীয়। তরুণ অফস্পিনার থারিন্ডু কৌশলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে গেছে পাকরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য দারুণ কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। দিনশেষে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলেছে।। পাকিস্তানের খেলা প্রথম ইনিংস থেকে শিক্ষাটা ভালভাবেই নিয়েছে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। সে কারণেই শুরু থেকে বেশ সতর্ক ছিলেন তারা। রান হোক বা হোক উইকেটে থাকতে হবে এমন পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিলেন দুই ওপেনার দিমুথ করুণারতেœ ও কৌশল সিলভা। প্রায় দু’ঘণ্টা তারা ব্যাটিং করে মাত্র ৪৭ রান তোলেন দলীয় স্কোরবোর্ডে। তবে তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার জুনাইদ খান। তিনি ফিরিয়ে দেন করুনারতেœকে (৬৭ বলে ৩ চারে ২৮) উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করে। তবে এরপর সিলভার সঙ্গে যোগ দিয়ে আর কোন উইকেট যেতে দেননি অভিজ্ঞ কুমার সাঙ্গাকারা। দিন শেষ করেছেন নির্বিঘেœই। ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করেছে লঙ্কানরা। এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সফরকারী পাকিস্তান। পুরো দলের জন্য দারুণ স্মরণীয় এ ম্যাচটি। কারণ অভিজ্ঞ ইউনুস খানের ১০০তম টেস্ট এটি। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি শুরুর দিনই ক্যারিয়ারের এ মাইলফলক স্পর্শ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনুস। পাকিস্তানের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলছেন তিনি। এর আগে জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইনজামাম-উল-হক, ওয়াসিম আকরাম ও সেলিম মালিক ১০০ টেস্ট খেলেছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ১২৪ টেস্ট খেলে সবার ওপরে মিয়াঁদাদ। ২০০০ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন ইউনিস। ৯৯ টেস্টে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ৫৩.৭১ গড়ে ৮৫৯৪ রান করেছেন। তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত আছে ২৯ সেঞ্চুরি ও সমান হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির দিক থেকে পাকিস্তানের হয়ে তিনিই সবার ওপরে। তবে সর্বাধিক রানের তালিকতিনি রয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে। মিয়াঁদাদ (৮৮৩২) ও ইনজামাম (৮৮২৯) রয়েছেন প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে। অবশ্য ক্যারিয়ারের এ মাইলফলকের ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন তিনি। শুরুটাই হয়েছে পাকদের বিপর্যয় দিয়ে। একপ্রান্তে মোহাম্মদ হাফিজ থাকলেও অন্যদিকে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। ইউনুস ৩৮ বলে ৬ রান করে ফিরে যান। হাফিজ সর্বোচ্চ ৪২ রান করে ফিরে যাওয়ার পর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান। মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। স্কোর ॥ পাকিস্তান প্রথম ইনিংস- ১৩৮; ৪২.৫ ওভার (হাফিজ ৪২, আজহার ২৬, ইয়াসির ১৫; থারিন্ডু ৫/৪২, প্রসাদ ৩/৪৩)। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস- প্রথম দিন শেষে ৭০/১; ৩২ ওভার (করুনারতেœ ২৮, সিলভা ২১*, সাঙ্গাকারা ১৮*; জুনাইদ ১/২৬)।
×