ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারনায়েভের আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৬ জুন ২০১৫

সারনায়েভের আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ম্যারাথনে প্রাণঘাতী বোমা হামলার জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জোখার সারনায়েভ ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত শুনানিকালে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন জোখার সারনায়েভ। গত মাসে সারনায়েভের মৃত্যুদ- ঘোষণা করা হলেও বিচারক বুধবার আনুমানিকভাবে তার মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষণা করেন। ১৫ এপ্রিল ম্যারাথন দৌড় শেষ হওয়ার সময় দর্শকের ভিড়ের মধ্যে চালানো ওই বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও ২৬৪ জন আহত হন। ঘটনার তিন দিন পর এক পুলিশকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশের গুলিতে অপর বোমা হামলাকারী জোখারের বড় ভাই তামারলেন সারনায়েভ নিহত হন। আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন জোখার সারনায়েভ। ওই চারজনকে হত্যা ও ২৬৪ জনকে আহত করার দায়ে এপ্রিলে জোখারকে দোষী সাব্যস্ত করেন মার্কিন ফেডারেল জুরিরা। মে মাসে এই জুরিরা বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগে জোরাখের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পক্ষে ভোট দেন। আনুষ্ঠানিক মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাপূর্ব শুনানিকালে ২১ বছর বয়সী চেচেন বংশোদ্ভূত জোখার বোমা হামলার জন্য আল্লাহর নামে নিজের ও মৃত ভাইয়ের পক্ষ থেকে দোষ স্বীকার করেন। এ সময় আদালতে ওই হামলায় আহতরাসহ তাদের ও নিহতদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিচার চলাকালে আদালতের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কখনও কোন কথা বলেননি জোখার। পরে দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘যে জীবনগুলো আমি নিয়েছি তার জন্য আমি দুঃখিত, যে দুর্ভোগে আমি আপনাদের ফেলেছি তার জন্য দুঃখিত, যে ক্ষতি আমি করেছি, যে অপূরণীয় ক্ষতি তার জন্য দুঃখিত।’ -বিবিসি/ ওয়েবসাইট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচ দিন পর মা ও শিশুকে উদ্ধার কলম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি জঙ্গলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচদিন পর এক নারী ও তার শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কলম্বিয়ার বিমান বাহিনী প্রধান এ ঘটনাকে অলৌকিক বলে অভিহিত করেছেন। বিবিসি বলছে, চোকো প্রদেশে জঙ্গলে বিধ্বস্ত ছোট সেসনা বিমানের কাছ থেকে উদ্ধারকারীরা ১৮ বছর বয়সী মারিয়া নেল্লিমুরিল্লো ও তার একবছর বয়সী ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় মুরিল্লো সামান্য আহত হলেও তার শিশুটি সম্পূর্ণ অক্ষত এবং সুস্থ রয়েছে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি শনিবার চোকো প্রদেশের রাজধানী কুইবদো থেকে সমুদ্রতীরবর্তী নুকুই শহরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে আলতো বাউদো অঞ্চলে এটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। সোমবার উদ্ধারকারীরা বিধ্বস্ত বিমানটির কাছে পৌঁছতে সক্ষম হন।
×