ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা অয়েলের ভবন নির্মাণে জটিলতা

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৬ জুন ২০১৫

পদ্মা অয়েলের ভবন নির্মাণে জটিলতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিয়মবহির্ভূতভাবে আট কোটি টাকার অগ্রীম প্রদান করে একটি বিতর্কিত ও কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনস্থ পদ্মা অয়েল কোম্পানির ভবন নির্মাণের কাজ দেয়ার চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ কাজের সঙ্গে কোম্পানির এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ মে চট্টগ্রামের নিজস্ব জমিতে পদ্মা অয়েলের ২৩ তলা ভবন নির্মাণের দরপত্র জমা হয়। একটি চক্র প্রজেক্টস একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্য সাধারণ ঠিকাদারদের ওই কাজের দরপত্র জমাদানে বাধা দেয়। এ কাজের জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দশ ভাগ টাকা অগ্রীম দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কাজ শুরুর আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে ৮ কোটি টাকা। অথচ ৮ কোটি টাকা ব্যাংকে রাখলে পদ্মা অয়েল বছরে লাভ পাবে প্রায় এক কোটি টাকা। কার্যাদেশে উল্লেখ রয়েছে ৩০ ভাগ কাজ শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল বাবদ টাকা কর্তন করা হবে। কাজটি সমাপ্তির সময় ধরা হয়েছে ৬০ মাস। ৩০ ভাগ কাজ শেষ করতে সময় দেয়া হয়েছে ৩০ মাস। অথচ এ সময় অগ্রীম প্রদানের টাকা ব্যাংকে রাখলে পদ্মা অয়েল এ সময়ে লাভ পাবে প্রায় তিন কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরুর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়া হলে তারা কাজ নাও করতে পারে। এতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষেত্রে অগ্রীম টাকা দেয়ার বিধান নেই। জানা যায়, যে বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে সেটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও বিনিয়োগ বোর্ডে ইতোপূর্বে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দোহাজারি, কক্সবাজার, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ বর্ধিত সময়ের মধ্যেও করতে ব্যর্থ হওয়ায় পিপিআর ২০০৮ বিধান মতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মহীন্দ্রা বাজারে আনল হালকা বাণিজ্যিক গাড়ি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বছর দুয়েক আগেও ভারতের বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি। কিন্তু তারপর থেকেই বিক্রি পড়তির দিকে। তবুও চাকা ঘোরার আশায় নতুন গাড়ি এনে বাজারে চনমনে ভাব ফিরিয়ে আনায় উদ্যোগী হয়েছে মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। এখানে সংস্থার নতুন ছোট গাড়ি ‘জিতো’ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছেন মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর হাত ধরে বাড়বে তাদের হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি। নতুন এ গাড়িটি তৈরির জন্য তেলঙ্গানার জাহিরাবাদ কারখানার সম্প্রসারণ করেছে মহীন্দ্রা। সব মিলিয়ে লগ্নি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আপাতত কারখানায় বার্ষিক ৯০ হাজার জিতো তৈরি করতে সক্ষম সংস্থা। শ্র্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপালে গাড়িটি রফতানি করবে তারা। গোয়েন্কা জানান, বছরখানেক পর গাড়িটির যাত্রীবাহী সংস্করণও বাজারে আনবেন তারা। অর্থনীতির হাল খারাপ হলে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসার ওপর। কিছুদিন আগে সেই কারণে সার্বিকভাবে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি তলানিতে ঠেকলেও পরে মাঝারি ও ভারি বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার উর্ধমুখী হয়েছে। কিন্তু এখনও (এপ্রিল-মে) হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি গত বছরের ওই সময়ের চেয়ে ৫.৫ শতাংশ কম। গাড়ি শিল্পের একাংশের মতে, যতক্ষণ না তৃণমূল স্তরে মানুষের আয় বাড়ছে, ততক্ষণ হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি বাড়বে না। কারণ আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়ে। তা পৌঁছে দেয়ার জন্য হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়িরও প্রয়োজন পড়ে।
×