ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ২৫ জুন ২০১৫

ভিয়েনায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ জুন বিকেলে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার প্যানত্রশিয়া হোটেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম ও পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির। বঙ্গ প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুল ইসলাম, এ কে এম সওকত আলী, রুহী দাস সাহা, বখতিয়ার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক মাহবুব খান শামীম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাইফুজ্জামান, ইমরুল, কায়েস, মানিক ও জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৪৭ সালে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে দ্বি-জাতিতত্ত্বের বিভ্রান্তির আচ্ছাদনে পূর্ববাংলার মানুষকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হয়। সাম্প্রদায়িক-স্বার্থবাদী মুসলিম লীগ শুরুতেই মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে পূর্ববাংলার মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়।’ তিনি বলেন, ‘এমন পটভূমিতে জনমানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আওয়ামী লীগ সাম্যবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও উদারনীতির ধারক হয়ে গণমানুষের মুক্তির লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয় এবং জয়ী হয়।’ নজরুল বলেন, ‘বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের এই একমাত্র নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক দলটির আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-জঙ্গীবাদমুক্ত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত।’ বিজ্ঞপ্তি হাজার হাজার বিদেশী নার্সকে ব্রিটেন ছাড়তে হবে সরকারের নতুন ইমিগ্রেশন নীতির কারণে হাজার হাজার অ-ইউরোপীয় বিদেশী নার্সের যুক্তরাজ্য ত্যাগে বাধ্য হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় (এনএইচএস) বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সরকারের নতুন ইমিগ্রেশন নীতি অনুযায়ী কোন বিদেশী নার্স যদি ওয়ার্ক পারমিটে যুক্তরাজ্যে ৬ বছর থাকার পর বছরে ন্যূনতম ৩৫ হাজার পাউন্ড আয় না করেন তবে তাকে দেশ ত্যাগ করতে হবে। যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্সসহ অ-ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার নার্স কর্মরত রয়েছেন। সরকারের এই নীতির কারণে হাসপাতালগুলো নার্স সঙ্কটের মুখে পড়বে। আর এতে করে ব্যাপক অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে রয়েল কলেজ অব নার্সিং সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে। ২০১১ সালের পরে যারা ওয়ার্ক পারমিটে এসেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার নার্সকে ২০১৭ সালের পর যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে হবে। যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ নার্সেরই বেতন ২১ হাজার থেকে ২৮ হাজার পাউন্ডের মধ্যে। ৩৫ হাজার পাউন্ড বেতনে কাজ করছেন এমন বিদেশী নার্সের সংখ্যা কম। -ওয়েবসাইট
×