ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৫ জুন ২০১৫

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিশেষত ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা টয়লেট নিশ্চিতসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। রোগ সংক্রমণ রোধ ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিকে টয়লেট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাইন সার্ভের প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিপত্রে বলা হয়েছে, দেশে প্রতি ১৮৭ শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে টয়লেটের ৪৫ শতাংশ বন্ধ থাকে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ টয়লেটের ভিতরে বা কাছাকাছি পানি ও হাত ধোয়ার জন্য সাবানের ব্যবস্থা থাকে না। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে। মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি এ খাতে পৃথক সংরক্ষিত তহবিলের ব্যবস্থা করবে। কমিটি টয়লেটসমূহ নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করে সংরক্ষিত তহবিল হতে ব্যয় মেটাবে। টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য জন্য শিক্ষকদের নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে স্কাউট/গার্লস গাইডের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে টয়লেট ও স্যানিটেশন কমিটি গঠন করা যেতে পারে। প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দলে বিভক্ত করে পালাক্রমে সারাবছরের জন্য টয়লেট পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব দিবেন। জেন্ডারবান্ধব স্যানিটেশন নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। টয়লেটসমূহে ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিকের পাত্র রাখতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ঋতুকালীন (মাসিক/পিরিয়ডের) বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য একজন শিক্ষিকাকে দায়িত্ব দিতে হবে। ছাত্রীদের জন্য অন-পেমেন্ট স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটিকে উদ্যোগ নিতে হবে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয় পরিদর্শক, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং উর্ধতন কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় টয়লেট ব্যবস্থা, মেয়েদের টয়লেট ব্যবস্থা, খাবার পানি ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্কুল স্যানিটেশনের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে স্থানীয় এনজিওসমূহকে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে। এনজিও/বেসরকারী সংস্থাসমূহ টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবার পানি, হাত ধোয়ার বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালাবে। নতুন ভবন নির্মাণের সময় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্ন রাখার খরচ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে টয়লেট ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য থাকবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই সংক্রামক রোগসমূহ শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ন্যাশনাল একাডেমি দরকার ॥ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক ন্যাশনাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নৈতিক শিক্ষা, প্রেষণা এবং যোগাযোগীয় দক্ষতার বিষয়টি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে গুরুত্ব দিতে হবে। বুধবার কমিশনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ১৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান, অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোজাহার আলী ।
×