ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম-দোহাজারী

রেলওয়ের কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৫ জুন ২০১৫

রেলওয়ের কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ২৪ জুন ॥ চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা বেড়েই চলেছে। রেলের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে এ রুটে দীর্ঘদিন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও ভুমিদস্যুরা রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে দখলবাজরা গোমদ-ী, বেঙ্গুরা, ধলঘাট, খানমোহনা, পটিয়া, চক্রশালা, খরনা, কাঞ্চননগর, হাশিমপুর, খাঁনহাট ও দোহাজারী স্টেশন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ রুটে এক সময় ছয় জোড়া ট্রেন চলত। কালুরঘাট সেতুর পর বোয়ালখালী থেকে শুরু করে দোহাজারী পর্যন্ত ১১টি স্টেশন এলাকার নারী-পুরুষ বেশির ভাগ সময় ট্রেনে গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করত। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে সংস্কারবিহীন লাইন ও ঘনঘন ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে রেলপথে মানুষের যাতায়াত কমেছে। এদিকে বিভিন্ন স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলওয়ের ১১টি স্টেশন এলাকায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত কোটি কোটি টাকার জায়গা স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালীরা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এ সব জায়গায় গড়ে ওঠেছে অসংখ্য দোকান, ঘরবাড়ি। রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গাগুলো রাস্তার পাশে হওয়াতে দখল চলছে। গোমদ-ী, বেঙ্গুরা, ধলঘাট, খান মোহনা, পটিয়া, চক্রশালা, খরনা, কাঞ্চননগর, হাশিমপুর, খাঁনহাট ও দোহাজারী এলাকায় দখল প্রতিযোগিতা চললেও রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা অদৃশ্য কারণে নীরব। পটিয়া থানার ৫০ গজের মধ্যে রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় দোকান নির্মাণ করে তা ভাড়া দেয়া হলেও এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। এ প্রসঙ্গে দোহাজারী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাঞ্চন ভট্টাচার্য বলেন, কালুরঘাট সেতু এলাকা থেকে শুরু করে দোহাজারী রেলস্টেশন পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার রেলওয়ের সম্পত্তি রয়েছে। পরিত্যক্ত এ সব সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ করছে। রেলওয়ের কাঞ্চননগরের স্লিপার ডিপো ও রেল ডিপোর সিংহভাগই স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। অবৈধ দখলবাজদের উচ্ছেদ করতে ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম জিআরপি থানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
×