ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সানন্দবাড়ি সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৫ জুন ২০১৫

সানন্দবাড়ি সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৪ জুন ॥ ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙ্গন ও খনাখন্দকে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি-রৌমারী পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। বর্তমানে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে নছিমন-করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক চলাচল করলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মালামাল আনা-নেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সড়কের সবুজপুর এলাকায় প্রায় ২শ’ মিটার সড়ক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ভাঙ্গন কবলিত অংশ দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা থেকে সানন্দবাড়ি বাজার হয়ে রৌমারী পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। দীর্ঘ এ সড়ক পথে রয়েছে উপজেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র পোল্লাকান্দি বাজার, ঝালুচর বাজার, কাঠারবিল বাজার ও সানন্দবাড়িসহ বড় বড় ব্যবসা কেন্দ্র পেট্রোল পাম্পসহ সীমান্ত। এ সড়কের সবুজ এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ক্রমাগত ভাঙ্গনে প্রায় ২শ’ মিটার সড়ক ভেঙ্গে একবারেই সরু হয়ে গেছে। ফলে এ পথে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়াও দীর্ঘ এ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খনাখন্দকের। ভাঙ্গন ও খনাখন্দকে ভরা এ সড়ক পথে ঝুঁকি নিয়ে নছিমন-করিম, ভটভটি ও ইজিবাইক দিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করলেও বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তারা কৃষিপণ্য রড় সিমেন্ট পেট্রোল-ডিজেলসহ মালামাল রাজধানী ঢাকা ও জামালপুর এবং রৌমারী-রাজিবপুর থেকে সরাসরি আনা-নেয়া করতে পাচ্ছেন না। সানন্দবাড়ি বাজারের রড-সিমেন্ট ও পরিবহন ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, রাস্তার ভাঙ্গন ও খানাখন্দের কারণে কয়েক মাস যাবত দেওয়ানগঞ্জ থেকে কোন ট্রাক আসতে পারছে না। এ জন্য কোন মালামাল আনা-নেয়া করতে হচ্ছে বকশীগঞ্জ দিয়ে ঘোরাপথে। এতে খচর বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পেট্রোল পাম্পের মালিক আবু রায়হান বলেন, রাস্তা ভাঙ্গনের কারণে এ সড়কে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই বক্তব্য এলাকার ব্যবসায়ী, ইজারাদার, পরিবহন চালক ও সাধারণ মানুষের। তাদের অভিযোগ এলজিইডি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকারও হচ্ছে এলাকার মানুষ। জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ওহাব খান বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত সড়কের প্রায় দেড় মিটার রাস্তা সরিয়ে নেয়ার জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সিদ্ধিরগঞ্জে টেলিফোন বিকল ॥ গ্রাহকের ভোগান্তি নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ২৪ জুন ॥ বিটিসিএলের সিদ্ধিরগঞ্জ এক্সচেঞ্জের সকল টেলিফোন গত ২ দিন ধরে বিকল হয়ে পড়েছে। এতে সরকারী-বেসরকারী অফিসসহ সকল গ্রাহক টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বিকল টেলিফোন সচল হয়নি। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বিটিসিএলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ এক্সচেঞ্জের সকল টেলিফোন বিকল হয়ে পড়ে। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী ইপিডেজ, র্যাব-১১ এর সদর দফতর, নারায়ণগঞ্জ সাইলো, পদ্মা ও মেঘনা ডিপো ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়সহ সরকারী-বেসরকারী অফিসসহ সকল গ্রাহক টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। জানা যায়, এক্সচেঞ্জের আওতায় ৪ হাজার টেলিফোন সংযোগ দেয়ার ক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ১২৭০টি টেলিফোন সংযোগ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ এক্সচেঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম (ফোনস) জানান, এক্সচেঞ্জের পাওয়ার কার্ডে সমস্যা দেখা দেয়ায় (কার্ড ফল্ট করায়) টেলিফোন বিকল হয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, বুধবারের মধ্যে সকল টেলিফোন সচল হয়ে যাবে।
×