ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জয়ের চেষ্টা অবশ্যই থাকবে ॥ অশ্বিন

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ২৪ জুন ২০১৫

জয়ের চেষ্টা অবশ্যই থাকবে ॥ অশ্বিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘বাংলাওয়াশ কী?’ এমন প্রশ্ন করতেই পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কারণ কোন অভিধানে এখন পর্যন্ত শব্দটি যোগ হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা বেশ ক্রীড়ারসিক! তাই প্রতিপক্ষ দলকে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলেই সেটাকে দেশের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘বাংলাওয়াশ’ নাম দিয়েছে। মাত্র দশবার ইতিহাসে এটা প্রতিপক্ষকে উপহার দিতে পারলেও সবেমাত্র তিন কি চার সিরিজে এই নামটির আবির্ভাব ঘটেছে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তাই বাংলাওয়াশ কি তা জানার প্রশ্ন করলেন অশ্বিন এবং উত্তর পেয়ে গেলেন। তিনি জানিয়েছেন শেষ ম্যাচে ভারতীয় দল যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বাংলাওয়াশ ঠেকানোর। এখন আর ভারতীয় দলের হারানোর কিছুই নেই। আগেভাগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে মৌসুমের শেষ এই ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে চায় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারত। আর মুস্তাফিজুর রহমানের বিষয়ে আরও সতর্কতার সঙ্গে সমীহ নিয়েই খেলবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সেটাও জানালেন তিনি। গত দুই ওয়ানডেতেই অলআউট হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যাটিং লাইনআপের দল ভারত। ২০ উইকেটের মধ্যে একাই ১১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তরুণ বাংলাদেশী পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যে করেই হোক তাকে ঠেকাতে হবে তৃতীয় ম্যাচে। নাহলে আবারও একই ভাগ্যবরণ করতে হবে। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এখানে মোকাবেলার কোন বিষয় নেই। মানে বলতে চাচ্ছি আমরা কী করব? তাকে অপহরণ করব? না, আমাদের নামতে হবে এবং ভাল এবং নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে হবে। সেই সঙ্গে চেষ্টা করে নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা তাকে অকার্যকর করতে পারব। তিনি দারুণ কিছু কাটার করতে পারেন। আর এটার দিকেই আমাদের তীক্ষè নজর দিতে হবে। তাকে যথেষ্ট সমীহও করতে হবে আমাদের। আর সম্মান এমন একটি বিষয় যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু ইতোমধ্যেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে। মুস্তাফিজুরকে ঠেকাতে পারলেও এখন আর সিরিজ থেকে ভাল কিছু কি আশা করতে পারে ভারতীয় দল? এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এখানে নিরাশার কিছু নেই। আমরা জয়ের জন্যই নামব। হ্যাঁ আমরা সিরিজটা হেরেছি, কিন্তু আমরা শেষ ম্যাচে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটাতে চাই। এই মুহূর্তে স্বস্তিতে থাকা জরুরী। আমরা পুরো দু’দিন সময় পেয়েছি এবং আমি মনে করি সবাই যা ঘটেছে সেটা নিয়ে ভেবেছে এবং আমরা সবাই জানি আমাদের কি করতে হবে। এখন মনোভাবটা একটু ভাল। এর মাধ্যমে মৌসুমের সমাপ্তি ঘটবে। সুতরাং আমরা যদি জয় নিয়ে শেষ করতে পারি সেটা আমাদের জন্য অনেক ভাল হবে।’ শেষ ম্যাচে জয়ের আশা করলেও সেটা ঘটিয়ে ফেলা বেশ কঠিনসাধ্য ভারতের জন্য। তা স্বীকার করছেন অশ্বিন নিজেও। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর বাংলাদেশ খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারছিল না। কিন্তু তারা সচেষ্ট ছিল একটা ছন্দ ধরে রাখার এবং ধীরে ধীরে ভাল করতে শুরু করল এবং জিততে থাকল। তাই আদর্শগতভাবে পরাজয়টাই শেষ কিছু নয়। এই মুহূর্তে সময়ের বিবেচনায় এটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন একটা খেলা। আমাদের চেষ্টা করতে হবে হেরে যাওয়া সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর। আমি মনে করি আপনি বাংলাদেশের কোন কৃতিত্বই কেড়ে নিতে পারবেন না। তারা সত্যিই খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছে। মনে হয়েছে এই মাঠে তারা কর্তৃত্ব করতেই এসেছে। তারা জানে কি করা প্রয়োজন। আমার মনে হয় আমাদের সৎভাবে শিকার করা উচিত হবে যে আমরা তেমন দুর্দান্ত কোন ক্রিকেট খেলিনি।’ দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশ দল ঘরের মাটিতে টানা ১০ ম্যাচ জিতেছে। এবার ভারতকে বাংলাওয়াশ করার সুযোগ। এ বিষয়ে অশ্বিন বলেন, ‘সেরা একাদশ নামানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা যে তিনটি পরিবর্তন এনেছি সেটা সেরা একাদশ গড়ার জন্যই। এটা কার্যকর হয়নি বলে যারা পরিবর্তনটা এনেছেন তাদের দোষারোপ করা যাবে না। আশা করছি আমরা চেষ্টা করব বাংলাওয়াশ এড়ানোর।’
×