ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাঁতারে গন্ডগোল, মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৪ জুন ২০১৫

সাঁতারে গন্ডগোল, মানববন্ধন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স একটি আন্তর্জাতিকমানের সুইমিং কমপ্লেক্স। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে ওই সুইমিং কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণ পুলের পাশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এই স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করা হলে পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিপর্যয় ঘটবে বিধায় খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে কোয়ার্টার নির্মাণের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সাঁতার ফেডারেশনের কর্মকর্তা, ক্রীড়ামোদি ও সাবেক জাতীয় সাঁতারুদের নিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচী মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। যদিও মানববন্ধন কর্মসূচী প্রথমে হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন আইভি রহমান সুইমিং পুলের সামনে। কিন্তু স্থান অপ্রতুল এবং সেখানকার ব্যবসায়ীদের অসুবিধে হবে বিধায় পরে ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জনকণ্ঠের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এশিয়া সাঁতার ফেডারেশনের ব্যুরে মেম্বার এবং ২০০২ সালে সাঁতারে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া শাহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মিরপুরের সাঁতার কমপ্লেক্স বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিকমানের সাঁতার ভেন্যু। সেখানে আমাদের না জানিয়েই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তড়িঘড়ি করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য একটি পাঁচতলা স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছে। এজন্য কেটে ফেলা হয়েছে সুইমিংপুলের ওয়ার্মআপ পুলের পাশের ফলদ ও বনজ গাছ। ভবনটি নির্মিত হলে সাঁতারুরা সেখানে ওয়ার্মআপ, ফ্রিহ্যান্ড অনুশীলন ও জগিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা পাবে না। একটা আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে কখনই স্টাফ কোয়ার্টার থাকে না। সুইমিংপুলের আশপাশে এমনিতেই বহুদিন ধরে মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ, সুইমিংপুলের পাশে এমন সব নিষিদ্ধ জিনিস পড়ে থাকে, যার কথা উচ্চারণ করতেও লজ্জা হয়। বিল্ডিং হয়ে গেলে সেখানকার লোকজন যখন তখন সুইমিংপুলে ঢুকবে, পানিতে নেমে পড়বে, সাঁতার শিখতে আসা মেয়েদের দিকে তাকাবে বা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করবে।
×