ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দীর্ঘ ১২ বছর পর এ ক্যাটাগরিতে লাফার্জ সুরমা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৪ জুন ২০১৫

দীর্ঘ ১২ বছর পর এ ক্যাটাগরিতে  লাফার্জ সুরমা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তালিকাভুক্তির পর প্রথমবারের মতো ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড। গ্রীন ফিল্ডের কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্তির দীর্ঘ ১২ বছর পর মঙ্গলবার থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে লেনদেন শুরু হয়েছে কোম্পানিটির। ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত হওয়ায় লাফার্জ সুরমার শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে ২ কার্যদিবস। এদিকে কোম্পানির স্পট মার্কেটে লেনদেনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে আগামী ২৯ জুন সোমবার ও ৩০ জুন মঙ্গলবার স্পট ও ব্লক মার্কেটে লেনদেন হবে। আর কোম্পানির রেকর্ড ডেট আগামী ২ জুলাই। রেকর্ড ডেটের কারণে ওইদিন শেয়ারটির লেনদেন বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশসহ মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা ওই লভ্যাংশ অনুমোদন করে। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন করে সোমবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জে এ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পাঠায় কোম্পানিটি। এর ভিত্তিতে এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার কোম্পানিকে এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৩ সালে গ্রিনফিল্ড কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। ২০০৭ সালে কোম্পানি প্রথমবারের মতো মুনাফা করতে সক্ষম হয়। পরের বছরও এ ধারা বজায় থাকে। কিন্তু বিপুল পুঞ্জীভূত লোকসানের কারণে ওই দুই বছর কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি। ভারতের মেঘালয়ে অবস্থিত খনি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন নিয়ে পরিবেশ বিষয়ক মামলার কারণে ২০০৯ সালে ক্লিংকার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানিটির। আমদানি করা ক্লিংকারে সিমেন্ট উৎপাদন চালু রাখা হলেও তাতে মুনাফা করতে সক্ষম হয়নি কোম্পানি। মামলার নিষ্পত্তির পর ২০১২ সালে ফের পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন শুরু হয় এ কোম্পানির। আর সে বছর থেকেই মুনাফার ধারা শুরু হয়। তবে কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ২০১৪ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
×