ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউক্রেনে রাজনৈতিক সঙ্কটকালে রক্তপাতের দায় স্বীকার করলেন

পুতিন আমাকে রক্ষা করেন ॥ ইয়ানুকোভিচ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৪ জুন ২০১৫

পুতিন আমাকে রক্ষা করেন ॥ ইয়ানুকোভিচ

ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের রক্তপাতের দায় তার রয়েছে। কিয়েভের মেইডেন স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো গুলির ঘটনা নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার দায় এড়াতে পারি না। খবর বিবিসির। বিবিসির নিউজনাইট অনুষ্ঠানে দেয় সাক্ষাতকারে ইয়ানুকোভিচ বলেন, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেননি। তবে তিনি রক্তপাত প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেননি বলে স্বীকার করেন। গত বছর গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম তিনি কোন পশ্চিমা মিডিয়ায় সাক্ষাতকার দিলেন। তিনি বলেন, আমি তাদের গুলি করার (আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে) কোন নির্দেশ দেইনি। যা আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়... আমি যে কোন বাহিনী ব্যবহারের বিরুদ্ধে, থাক তো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা, আমি রক্তপাতের বিরুদ্ধে। তবে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। তাদের অধিকার আছে অস্ত্র ব্যবহার করার। কিয়েভের সেন্ট্রাল স্কয়ারের সংঘাতে এক শ’য়ের ওপর লোক মারা যায়। সেখানকার বিপুল জনতা মাসব্যাপী পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। রক্তপাতের এক বছর পর কিছু প্রত্যক্ষদশী বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুলিশের গুলি করার ফলে রক্তপাতের সূত্রপাত হয়। রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়ানুকোভিচ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর কয়েক সপ্তাহ পর রাশিয়ান বাহিনী ছদ্মবেশে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। তারপর এপ্রিল থেকে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সরকারী ভবনগুলোসহ পূর্ব ইউক্রেনের ভারি শিল্পাঞ্চল এলাকা দোনবাস দখল করে নেয়। যে কারণে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। বিবিসিকে ইয়ানুকোভিচ বলেন, যুদ্ধ হলো বাস্তবতা। আর রাশিয়ার ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তিনি সেখানাকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। সেখানে যা হয়েছে তা খুবই খারাপ। এখন আমাদের প্রয়োজন এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খোঁজা। এছাড়া রাষ্ট্রীয় তহবিল আত্মসাতের কথা তিনি অস্বীকার করেন। যদিও তিনি দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের লাখ লাখ ডলার তছরুফের অভিযোগে এ বছর জানুয়ারিতে ইন্টারপোল তাকে ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করেছে।
×