ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এশীয় অবকাঠামো ব্যাংকে যোগ দিতে এ মাসেই চুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ২৩ জুন ২০১৫

এশীয় অবকাঠামো ব্যাংকে যোগ দিতে এ মাসেই চুক্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পশ্চিমা বিশ্বনিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হিসেবে প্রস্তাবিত চীনভিত্তিক এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকে (এআইআইবি) যোগ দিতে চলতি মাসের শেষে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ। এআইআইবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে ২৯ জুন চীনের বেজিংয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে দেশের পক্ষে সই করবেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। চুক্তিতে সই করতে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ২৭ জুন বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ওই চুক্তিতে সই করতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের যাওয়ার কথা থাকলেও নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসে ব্যস্ততার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে ইআরডির তৈরি করা এআইআইবির ‘আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট’ কার্যপত্রে দেখা যায়, ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশকে ৬৬ কোটি ৫ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে, যা মোট মূলধনের শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে শেয়ারের বিপরীতে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৩ কোটি ২১ লাখ ডলার সমান পাঁচ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। আর এই পরিমাণ মূলধনের জন্য বাংলাদেশ মোট নয় হাজার ৬৩৫টি ভোটের মালিক হবে, যা মোট ভোটারের শূন্য দশমিক ৮৩ ভাগ। ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সম্ভাব্য সদস্য দেশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭টি। অনুমোদিত ১০০ কোটি ডলারের মূলধনের মধ্যে চীন একাই অর্ধেক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এশিয়া অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সামিটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ ব্যাংক গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর আলোচনার একপর্যায়ে গত বছরের অক্টোবরের শেষে এআইআইবি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশসহ ২২টি এশীয় দেশ একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করে। সমঝোতা অনুযায়ী ব্যাংকটির সদর সদর দফতর বেজিংয়ে স্থাপন এবং বহুপক্ষীয় অন্তর্বর্তীকালীন সচিবালয়ের মহাসচিব হিসেবে জিন লিকুনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলপথের সংযোগ স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার অবকাঠামো খাতে এখন থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে ৮০ হাজার কোটি ডলার করে বিনিয়োগ প্রয়োজন। অথচ সংস্থাটি বছরে মাত্র এক হাজার কোটি ডলার ঋণ দিয়ে থাকে।
×