ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে অরক্ষিত ৫ কোটি টাকার সম্পদ

হর্টিকালচার সেন্টারের ॥ প্রাচীর ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২২ জুন ২০১৫

হর্টিকালচার সেন্টারের ॥ প্রাচীর ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আগাম কোন নোটিস ছাড়াই সরকারী প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ। দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের সীমানা প্রাচীর হঠাৎ করে ভেঙ্গে ফেলায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ টাকার চারাগাছসহ ৫০ কোটি টাকার সম্পদ। কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে দিতে গেলে সরকারী নির্দেশনা কিংবা নোটিসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোন প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেই সরকারী প্রতিষ্ঠানের ৫০ থেকে ৬০ শতক জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার উদ্যানসেবা পরিচালনার জন্য ১৯৭৮ সালে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাট এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে ওই স্থানে হাজী মোহাম্মদ দানেশ কলেজ স্থাপিত হলে হর্টিকালচার সেন্টারের ১০ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এক বছর পর ভূমিহীন হর্টিকালচার সেন্টারটিকে সরকারীভাবে সদর উপজেলা পরিষদের মাত্র ১ দশমিক ৩ একর সম্পত্তির ওপর স্থানান্তরিত করা হয়। হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক একেএম নুরুল আমিন জানান, সরকারীভাবে দেয়া জমিটিতে তারা বসবাস করলেও গত বছর জমিটি উপজেলা পরিষদের নামে রেকর্ড হয়েছে। এরপর হঠাৎ করেই কোন নোটিস, মৌখিক কিংবা লিখিতভাবে না জানিয়েই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে উপজেলা পরিষদ। এক দশমিক তিন একর সম্পত্তির মধ্যে ৫০-৬০ শতক জমিতে স্থাপনা করবে উপজেলা পরিষদ। স্থাপনা হলে তাদের চারা কলমের জায়গা থাকবে না। আবার প্রয়োজন পড়লে বাকি সম্পত্তি দখলে নেয়ার কথাও জানিয়েছে উপজেলা পরিষদ। বর্তমানে তাদের অধীনে কোন জমি না থাকায় এভাবে উপজেলা পরিষদ নিয়মবহির্ভূতভাবে জমি নিয়ে নিলে তাদের পথে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন করার জন্য কিছু জায়গার প্রয়োজন। এজন্য হর্টিকালচার সেন্টারের কিছু জায়গা নেয়া হচ্ছে। জায়গার জন্য হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাদের আগেই জানানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। তিনি জানান, বারবার বলার পরও জায়গাটি ছেড়ে না দেয়ায় সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারীভাবে কোন নোটিস কিংবা লিখিত দেয়া হয়েছে কিনাÑ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাদের ডেকে বলা হয়েছে।
×