ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ বছর ইঁদুরের পেটে ৭শ’ ২৩ কোটি টাকার ফসল

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২২ জুন ২০১৫

এ বছর ইঁদুরের পেটে ৭শ’ ২৩ কোটি টাকার ফসল

সংসদ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরে সারাদেশে ৭২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফসল গেছে ইঁদুরের পেটে। এই এক বছরে ইঁদুর কর্তৃক শুধু ধান ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন। যার বর্তমান বাজার মূল্যে ৪৩৯ কোটি ৮২ কোটি টাকা। রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন ধান নষ্ট করেছে ইঁদুর। যার বাজার মূল্য ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। একই সময় ৬২ হাজার ৭৬৪ মেট্রিক টন চাল নষ্ট করেছে ইঁদুর। যার বাজার মূল্য ২০০ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এছাড়াও গম নষ্ট করেছে ২৯ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৮৩ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ধান প্রতি টন ১৮ হাজার ৫০০, গম ২৮ হাজার এবং চাল ৩২ হাজার টাকা টন মূল্য ধরে এই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ওপর ভর্তুকি প্রদান করে না। তবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য কৃষি উপকরণ তথা সার, বিদ্যুত, ডিজেল ইত্যাদিতে ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। তিনি জানান চলতি অর্থবছরে সার ও সেচ কার্যক্রমে ৫ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫১ জেলায় কৃষক পর্যায়ে কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে আগ্রহী কৃষক/কৃষক গ্রুপকে সর্বোচ্চ শতকরা ৩০ ভাগ হারে উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) প্রদান করা হচ্ছে- যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ॥ সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী, যারা সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেফতার হয়েছে, তাদের সকলকেই চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্তসহ বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এহেন অপরাধের সঙ্গে জড়িত কতিপয় কর্মকর্তার বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে স্ব স্ব পদে বহাল তবিয়তে পুরনো কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়। বিশাল সমুদ্রসীমার নিরাপত্তায় ‘ফোর্সেস ২০৩০’ ॥ সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ‘নৌবাহিনীর গোল ২০২০’ প্রকল্প নামে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সীমানা, বিদ্যমান সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষাসহ সমুদ্রপথে নিরবচ্ছিন্ন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস ২০৩০’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের আওতায় নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জাহাজ, সাবমেরিন, ফ্রিগেট, লার্জ পাট্রোল ক্রাফটসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও নির্মাণ করা হবে। যুদ্ধ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিসাইল, টর্পেডোসহ আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন, নতুন ঘাঁটি ও স্থাপনা নির্মাণ, জাতীয় স্বার্থে ন্যাশনাল মেরিটাইম পলিসি প্রণয়ন ও ন্যাশনাল মেরিটাইম কমিশন গঠন এবং মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
×