স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌসুমী ফলই কমিয়ে দিল ইফতার পণ্যের দাম। ফলের বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল ও আনারসের ছড়াছড়ি। দামও কম। ইফতারির প্রধান অনুসর্গ এসব দেশীয় সব ফল। পেঁয়াজু ও বেগুনির পরিবর্তে মুড়ির সঙ্গে রোজাদারদের পছন্দ আম ও কাঁঠাল। আর এ কারণে অন্য ভোগ্যপণ্যের দাম কমে আসতে শুরু করেছে। রোজার একদিন আগে কয়েকটি পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও এখন তা কমতির দিকে রয়েছে। দাম কমার তালিকায় আছে ভোজ্য তেল, চিনি ও ব্রয়লার মুরগি।
স্থিতিশীল রয়েছে ছোলা, ডাল, খেজুরের দাম। শুধু পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। শাক-সবজির দামও আর বাড়েনি। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, ভোগ্যপণ্যের বাজার এখন স্থিতিশীল হয়ে আসছে।
কাপ্তান বাজারে ভোগ্যপণ্যের বাজার করতে এসে খুশি টিপু সুলতান রোডের বাসিন্দা আবদুল হালিম। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, রোজা এমন সময় শুরু হয়েছে যখন বাজার ভর্তি ফল। তাই বেশি করে ফলই কেনা হয়েছে। গরম বেশি তাই ইফতারিতে মুড়ির সঙ্গে আম এবং কাঁঠাল সবার পছন্দ। তিনি বলেন, মৌসুমী ফলের কারণে ভাঁজাপোড়া কম খাচ্ছে রোজাদাররা। আর এ কারণে ছোলা, ডাল ও বেগুনসহ অন্যান্য পণ্যের কোন সঙ্কট দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া ফলের দামও সস্তা। তাই ইফতারিতে এবার সবচেয়ে বেশি ফল খাওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দেশে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও এলসি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের গবেষণা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজ চাহিদার তুলনায় দেশে বেশি মজুদ রয়েছে। এছাড়া এলসি নিষ্পত্তিও সন্তোষজনক। তাই রমজানে কোন পণ্যের সঙ্কট হওয়ার কারণ নেই।
ফকিরাপুল বাজারের মুদিপণ্যের বিক্রেতা রাসেল জানান, রোজার শুরুতে ছোলা, ডাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও এখন কমতির দিকে রয়েছে। প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০Ñ৬৫ টাকায়, যা রোজার শুরুতে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গুলিস্তানের ফল বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, বাজারে মৌসুমী ফলের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং দামও কম। তাই রোজাদারদের ফল কেনার প্রবণতা এবার বেশি। তিনি বলেন, রোজার ত্রিশ দিনেই বাজারে ফল পাওয়া যাবে। নতুন ফজলি আম ওঠা শুরু হয়েছে। বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদন হয়েছে দেশে। এ কারণে ফলের দামও বাড়বে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: