ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্ভাবনাময় গাড়ির বাজার বাংলাদেশ ॥ কারমুডির সমীক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২২ জুন ২০১৫

সম্ভাবনাময় গাড়ির বাজার বাংলাদেশ ॥ কারমুডির সমীক্ষা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং ব্যবসায়িক যানবাহন অনলাইনে বেচাকেনার মার্কেট হলো কারমুডি। সম্প্রতি কারমুডির বার্ষিক গবেষণায় বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল মার্কেটের গাড়ি শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যতের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গাড়ি বিক্রয় ৮৯ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। যেটি ২০১৪ সালের চেয়ে ২.৪ শতাংশ বেশি। বিশ্বব্যাপী গাড়ি বিক্রয়ে উন্নয়নশীল মার্কেটের ২০১২ সালের ৫০ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ৬০ শতাংশ বেড়ে যাবে এবং বিশ্বব্যাপী লাভ বাড়বে ১০ শতাংশ। নতুন গাড়ি কেনার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি এশিয়াতে। যেখানে ৬৫ শতাংশ ক্রেতা বলছেন, তারা আগামী দু’বছরের মধ্যে নতুন গাড়ি কিনবেন। আর ৭ শতাংশ পরিকল্পনা করছেন ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) গাড়ি কেনার। বিশ্বজুড়ে অটো (গাড়ি শিল্পে) ই-কমার্স উন্নতি করেছে। বর্তমানে ৮০ শতাংশ নতুন গাড়ির ক্রেতা এবং প্রায় ১০০ শতাংশ ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) গাড়ির ক্রেতারা তাদের গাড়ি কেনা শুরু করেছেন অনলাইনে। উন্নয়নশীল মার্কেটে ইন্টারনেট ও মোবাইলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচাকেনার বিষয়টি পাশ্চাত্যের দেশের মতো এ দেশেও চালু হয়েছে। বাংলাদেশ এখন রিকন্ডিশন গাড়ির এক প্রধান আমদানিকারক এবং এখানে ৭০ শতাংশ গাড়ির ক্রেতারা গাড়ি কেনার আগে অনলাইনে গাড়ির ক্লাসিফাইড ব্যবহার করে গাড়ি নিয়ে গবেষণা করেন। তারপর তা ক্রয়ের সিন্ধান্ত নেন। গবেষণার প্রতিবেদনে জানা যায়, গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে- বাংলাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ গাড়ির ডিলারেরা কোন পরিবর্তন দেখতে পাননি। বাকি ৬০ শতাংশের ভেতর ৩০ শতাংশ উন্নতি দেখেছেন এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ ডিলার বিক্রয়ে দেখেছেন অবনতি। এ পরিস্থিতির কারণ হলো উঠতি স্টক, গাড়ির ডিলারদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা। গাড়ি শিল্প ব্যবস্থাপনায় অফলাইন ও অনলাইন দুটি মাধমেরই ব্যবহার রয়েছে। তবে ইদানিং বাংলাদেশে এটি অনলাইনে রূপান্তর হচ্ছে। বর্তমানে ৫০ শতাংশের বেশি ডিলার প্রচারণার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন। বাকিরা প্রচারণা চালান সংবাদপত্রসহ অন্যান্য মাধ্যমে। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া-প্যাসিফিকের সবচেয়ে দ্রুত ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতি নিয়ে ২০১৮ পর্যন্ত মোট বার্ষিক জিডিপির বৃদ্ধি হার ৭ শতাংশ নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চেহারা খুবই আশাব্যঞ্জক। রাস্তাঘাটের উন্নতি ও পরিবারের ক্রয়ক্ষমতার উন্নতি নিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহৃত গাড়ির বিক্রয় বাড়বে। এ প্রসঙ্গে র‌্যাংগস গ্রুপের অটোমটিভ ডিভিশনের মার্কেটিং প্রধান খান মোঃ সাকিব উস সালেহিন জানান, গাড়ি বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে তখনই, যখন করের হার একটি সহনীয় পর্যায়ে আসবে। বর্তমান করের গঠন যদি একই থেকে যায়, তাহলে ভাল মানের ছোট গাড়ির বিক্রি বেড়ে যাবে। কারমুডি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জোয়াও পেডরো প্রিন্সিপে বলেন, বাংলাদেশের গাড়ি শিল্প নিঃসন্দেহে প্রগতিশীল ও প্রাণবন্ত। মোটরসাইকেল ক্রেতারা এ আকর্ষণীয় মার্কেটে ঢুকছেন।
×