ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট আলোচনায় বিএনপির সমালোচনায় মুখর সংসদ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২২ জুন ২০১৫

বাজেট আলোচনায় বিএনপির সমালোচনায় মুখর সংসদ

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের কড়া সমালোচনা করেছেন সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। প্রতিটি ক্ষেত্রে এই অশুভ রাজনৈতিক জোটকে বর্জন ও প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কারিগর। অন্যদিকে খালেদা জিয়া হচ্ছেন দেশ ধ্বংসকারী, অগ্নিসন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের নেত্রী ও মানুষের প্রাণসংহারকারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে মানুষের ক্ষুধা মিটালেও খালেদা জিয়ার মনের আগুন নেভাতে পারেননি। পুরো বঙ্গোপসাগরের পানি ঢেলেও খালেদা জিয়ার মনের আগুন নেভানো যাবে না। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে বিএনপি নেত্রী রাজনীতি করার মৌলিক অধিকার হারিয়েছেন। রবিবার জাতীয় সংসদে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনাকালে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেনÑ সরকারী দলের আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ দীপু মনি, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, তানভীর ইমাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, সানজিদা খানম, মহিবুর রহমান মানিক, জাতীয় পার্টির শওকত আলী ও বেগম মাহজাবিন মোর্শেদ। সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিদেশীদের কাছে বিতর্কিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। তিনি বলেন, পাবর্ত্য চুক্তির সময় খালেদা জিয়া বলেছিলেন ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন- উনি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ঢাকায় আসেন কিনা? ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ককে চার লেন, বরিশালে গ্যাস সরবরাহসহ ওই অঞ্চলের নানা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আর মাত্র ১৩০ কোটি অতিরিক্ত বরাদ্দ পেলেই সকল মুক্তিযোদ্ধাকেই ১০ হাজার টাকা করে সমানভাতা দিতে পারব। এটা দিতে পারলে কোন প্রশ্ন উঠবে না, বৈষম্যও হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকা রাজাকারদের তালিকা গায়েব করে দেয়া হয়েছে। আমরা সেই রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করছি। আর পাঠ্যপুস্তকে শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা নয়, ওই সময় যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার ও জামায়াতের কী ভূমিকা ছিল তাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেসব স্কুল-প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নাÑ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্র নয়, উন্নয়নও দিচ্ছেন। আর খালেদা জিয়া হচ্ছেন জোট দেশ ধ্বংসকারী, মানুষের শান্তি বিনষ্টকারী ও মানুষের প্রাণসংহারকারী। ক্ষমতায় থাকতে তিনি পারিবারিক হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের মাধ্যমে দেশের অর্থ লুণ্ঠন, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদের সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে লালন-পালন করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসন-দুষ্কর্মের কথা কথায় বলা যাবে না। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে এদের বর্জন ও প্রতিহত করতে হবে।
×