বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ রোজার মাস নিয়ে খাদ্যে ভেজাল মেশানো অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেহরি ও ইফতারের খাদ্যসামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। রাজধানীর বিভিন্ন ইফতারির দোকানের খাদ্যসামগ্রিতে টেক্সটাইল গ্রেড রং ব্যবহার করা হচ্ছে জিলাপি, পেয়াজু, চপসহ প্রায় প্রতিটি ইফতারিতে এডিবল ওয়েলের পরিবর্তে পেট্রোল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রতিটি সচেতন ও বিবেকবান মানুষ উদ্বিগ্ন। তাই রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত গঠন করা সময়ের দাবি। শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে বক্তারা এ দাবি জানান। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), আইনের পাঠশালা এবং পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।
মানববন্ধনে আইনের পাঠশালার সহ-সম্পাদক সুব্রত দাস খোকনের উপস্থাপনায় এবং পবার সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাকিয়া শিশির, আবুল হাসনাত, মোঃ সেলিম, বোরহান উদ্দিন আহমেদ, ঢাবির শিক্ষার্থী নীলয় প্রমুখ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক অংশ নেন।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মেশানো রাসায়নিক পদার্থসমূহ মানবদেহে মারাত্মক বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। ভেজাল খাদ্য স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিষযুক্ত খাবারের কারণে দেশে এক ধরনের নীরব এবং ধীর গণহত্যা চলছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রতিটি সচেতন ও বিবেকবান মানুষ উদ্বিগ্ন ।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়নের পর দেশবাসী সাধুবাদ জানিয়েছিল কিন্তু সে আইনের কোন বাস্তবায়ন নেই। আইন প্রণয়নের পর প্রায় বিশ মাসের মতো অতিবাহিত হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসংখ্য মানুষ কিডনি, যকৃত এবং গলার ভেতরে অসুখে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এই আইনের কোন প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। তাই নিরাপদ খাদ্য আইনের বাস্তবায়নও এখন সময়ের দাবি।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে খাদ্যে ভেজালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত উল্লেখ করে তাঁরা আরও বলেন, একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি সুস্থ প্রাণোচ্ছল আগামী প্রজন্ম। তাই আগামী প্রজন্মকে বিষাক্ত রাসায়নিক ও ভেজাল খাদ্যের হাত থেকে বাঁচাতে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: