ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২১ জুন ২০১৫

বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ২০ জুন ॥ অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে বরগুনার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ৩০ গ্রাম। গ্রামগুলো হচ্ছে পাথরঘাটার পদ্মা, রুহিতা, জ্বিনতলা, বাদুরতলা, কোরালিয়া, নিজ লাঠিমারা, ছোট টেংরা, গাববাড়ীয়া। বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে, ঝোপখালী, ভোলানাথপুর, জগাইখালী, কালিকাবাড়ী, গাবতলী, আলিয়াবাদ, জোয়ার করুনা, গ্রেমর্দনসহ আশপাশের এলাকাগুলো জোয়োরের পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও বেড়িবাঁধের বাইরে নিম্নাঞ্চল তালতলীর খোটটার চর, নলবুনিয়ার চর, আশার চর, তেঁতুল বাড়ীয়ার চর ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে লবণ থাকায় নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল, ভাসিয়ে নিয়ে গেছে চাষীদের মাছের ঘের। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে এসব গ্রাম জোয়ারে ভাসছে আর ভাটায় শুকাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, জোয়ারে পানির চাপ বেশি থাকায় পাথরঘাটার পদ্মা, রুহিতা এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। পদ্মা, রুহিতা, জ্বিনতলার বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্যা নিরসনে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙন কবলিত পদ্মা ও রুহিতা এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবার ও জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধের স্থায়ী সমস্যা নিরসনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, কুয়াকাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রিভার সাইটের সেøাপসহ মূল বাঁধ ধসে পড়েছে। মিরাবাড়ি সংলগ্ন বাঁধে এভাবে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অমাবস্যা পরবর্তী তিন দিনে সাগরে অস্বাভাবিক জোয়ারের তা-বে মূলবাঁধ সাগরে বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঢেউয়ের তা-বে ধসে পড়ছে বাঁধ প্রটেকশনের ব্লক। ফলে কুয়াকাটার লগ্নিকারকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একই দশা বেড়িবাঁধের মাঝিবাড়ি পয়েন্টের। জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের খাজুরা-মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সেøাপ সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে মেরামত কাজ শুরু হয়। অত্যন্ত ধীরগতিতে এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সিসি ব্লক দিয়ে প্রটেকশনের কাজ চলতে থাকে। বর্তমানে বাঁধের মাঝিবাড়ি ও মিরাবাড়ি পয়েন্টে ফের ব্যাপকভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তবে মিরাবাড়ি পয়েন্টের দশা খুবই চরমে। যে কোন সময় মূল বাঁধ বিধ্বস্তের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিশাল এলাকায় ব্লক দেয়া হয়নি।
×