ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাত শ’ পরিবার হুমকিতে

গাইবান্ধায় তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রে তীব্র ভাঙন

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২১ জুন ২০১৫

গাইবান্ধায় তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রে তীব্র ভাঙন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২০ জুন ॥ জেলার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, করতোয়া ও ঘাঘট নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় নদী ভাঙন আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এক সপ্তাহে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ফুলছড়ি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠসহ ৩৫টি পরিবারের বসতবাড়ি, আবাদী জমি ও মূল্যবান গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে ফজলুপুর ইউনিয়নের চন্দনস্বর, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, কুচখালী, কাউয়াবাঁধা উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া, উড়িয়ার রতনপুর, কালাসোনা, গজারিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া, জিয়াডাঙ্গা, কঞ্চিপাড়ার রসুলপুর, পূর্ব কঞ্চিপাড়া, জোড়াবাড়ি, সাতারকান্দি, ফজলুপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ও খাটিয়ামারী গ্রামে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে ফুলছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা, ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজ, ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রসা, ১টি মন্দিরসহ ওই এলাকার আরও প্রায় ৩ শতাধিক বসতবাড়ি। এছাড়াও ভাঙনের কবল থেকে ফুলছড়ির বরমতাইড় সংযোগ সড়ক ও কামারপাড়া রক্ষার্থে জরুরীভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত অপরিহার্য বলে জানা গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ফুলছড়ির পূর্ব কঞ্চিপাড়া, সিংড়িয়া, কাতলামারী, জিয়াডাঙ্গা, গলনা, কামারপাড়া, রসুলপুর, কালাসোনা, গাবগাছি, খাটিয়ামারি, নিশ্চিন্তিপুর গ্রামের সাত শতাধিক নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ এখন চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমান সূত্রে জানা গেছে, নদীভাঙন কবলিত ফুলছড়ির কামারপাড়া এলাকার ভাঙন ঠেকাতে প্রাথমিক পর্যায়ে ৯০ লাখ টাকা এবং জরুরীভিত্তিতে কাজ করার জন্য আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে এই ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। অপরদিকে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরসহ ছয়টি ইউনিয়নের নিজামখাঁ, খোদ্দারচর, চরচরিতাবাড়ি, কানিচরিতাবাড়ি, রিয়াজ মিয়ারচর, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, কেরানির চর, কালাইসোতার চর, চর বিরহীম, ভোরের পাখি, কালিরখামার চর এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
×