ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয় ॥ দোকান মালিক সমিতি

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২১ জুন ২০১৫

প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয় ॥ দোকান মালিক সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটে প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি করে এলাকাভিত্তিক দোকান ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয় এমন অভিযোগ এনে তা কমানোর দাবিও জানান তারা। এ সময় তারা বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িকদের স্বার্থে প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি করা কোনক্রমেই গ্রহণীয় নয়। তাই তা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ন্যায় অব্যাহত রাখার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোকান মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যারা প্যাকেজ ভ্যাট প্রদান করেন তাদের স্থান ও স্থাপনার মূসক থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি করায় ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন ক্ষুদ্র ওই ব্যবসায়িক নেতারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিরাজমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এসব অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৈফিক এহসান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্যাকেজ ভ্যাট বৃদ্ধি করায় দোকান মালিক তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় ব্যাঘাত ঘটবে। তাই প্যাকেট ভ্যাট চলতি অর্থবছরের ন্যায় অব্যাহত রাখার দাবি জানাচ্ছি। প্যাকেজ ভ্যাট ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ন্যায় অব্যাহত রাখার দাবি জানাচ্ছি। দোকান মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যারা প্যাকেজ ভ্যাট প্রদান করেন তাদের স্থান ও স্থাপনার মূসক থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ী বা দোকানের এলাকাভিত্তিক বছরে ১১ হাজার টাকা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন), ৮ হাজার টাকা (অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন), ৬ হাজার টাকা (জেলা পৌরসভা) ও ৩ হাজার টাকা (দেশের অন্যান্য এলাকায় নির্ধারিত ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রস্তাবিত বাজেটে ১৪ হাজার টাকা, ১২ হাজার টাকা, ৭ হাজার ২০০ টাকা, ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বর্ধিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে একদিকে দোকান মালিকগণ একটা বাড়তি চাপে থাকবে, অন্যদিকে মাঠপর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানির মাত্রা বাড়বে। আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের শুরু থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা যখন ভাল ব্যবসার আশায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার করা স্থান ও স্থাপনার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতির আয়তনসীমা তিনশ’ বর্গফুট থেকে কমিয়ে দেড়শ’ বগফুট নির্ধারণ করা হয়েছে। স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এ আয়তনসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান এসএ কাদের কিরন বলেন, ধানম-ি সার্কেলের ডিসি ইতোমধ্যে চিঠি পাঠিয়ে বাড়তি অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছেন। সুপার শপে পূর্বে ভ্যাট ছিল ২ শতাংশ, বর্তমানে তা ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এটা তাদের নোটিশ করা হয়েছে, কিন্তু তা বাজেট পাস হওয়ার পূর্বে সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক। ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রেও দোকানদারদের প্রচুর হয়রানি করা হয়। অডিট পরিচালনা না করেই তারা দোকনদারদের খাতা-পত্র নিয়ে যায়, যা স¤পূর্ণভাবে বে-আইনী। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব মোঃ শাহ আলম খন্দকার প্রমুখ।
×