ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্রবিরতি চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো ইয়েমেন আলোচনা

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২১ জুন ২০১৫

অস্ত্রবিরতি চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো ইয়েমেন আলোচনা

ইয়েমেনের বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভায় আয়োজিত শান্তি আলোচনা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরপরই শুক্রবার সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনীর যুদ্ধ বিমানগুলো হুতি বিদ্রোহী ও মিত্র অভিজাত রিপাবলিকান গার্ড বাহিনীর অবস্থানের ওপর বোমা হামলা করেছে। খবর ওয়সাইটের। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইসমাইল ওউলদ শেখ আহমেদ জানিয়েছেন, পাঁচ দিনের ‘নিবিড় আলোচনায়’ দু’পক্ষ অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২১৬ প্রস্তাব মেনে নিজ নিজ বাহিনী প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে আহমদ বলেন, “আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতি ও বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে সবপক্ষের মধ্যে আগ্রহ দেখা গেছে। এ কয়দিনের আলোচনায় আমার মধ্যে এ আশাবাদ জন্মেছে যে, আসছে দিনগুলোতে আমরা এই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার দেশটির বাইরে আছে এবং অনেক প্রাণহানির মুখেও বিবদমান পক্ষগুলো নিজ নিজ অবস্থান শক্তভাবে ধরে রেখেছে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৩৫ লাখ ডলার দেয়ার প্রস্তাব জাপানের সাগরে জাহাজে আটকে থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৩৫ লাখ ডলার দেয়ার প্রস্তাব করেছে জাপান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা শনিবার বলেন, নারী ও শিশুসহ যেসব অনিয়মিত অভিবাসী ভারত মহাসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ফলে জাপান জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের মাধ্যমে ৩৫ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ অর্থ এসব অভিবাসীর খাদ্য ও আশ্রয় ছাড়াও সমুদ্রে তাদের গতিবিধি নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের অভিযোগ তারা দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সরকার দ্বারা নানা ধরনের নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। মিয়ানমার সরকার তাদের ন্যূনতম নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতেও অনিচ্ছুক। -এএফপি
×