ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বর্ষায় লঞ্চযাত্রায় সতর্কতা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২১ জুন ২০১৫

বর্ষায় লঞ্চযাত্রায় সতর্কতা

বর্ষা আগত। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশ বর্ষার জন্য অপেক্ষা করছে। উত্তরবঙ্গের অতি নিকটে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ প্রতিবেশী সুউচ্চ শৃঙ্খ হিমালয় পর্বত বাংলাদেশে আসার জন্য অপেক্ষমাণ। মেঘ থেকে বৃষ্টি যেন ছায়া হয়ে আছে। ছোট বড় নদ-নদী উত্তাল মাতমে নাচার অপেক্ষায়। বর্ষা মৌসুমে ৯০ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ নদীপথে লঞ্চে যাতায়াত করে থাকে। এই বর্ষায় প্রতিবছর অসংখ্য লঞ্চ নানা কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ব্যাপকভাবে জানমালের ক্ষতি হয়। অসংখ্য যাত্রী দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। বিরূপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা, নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ফিটনেসবিহীন জলযান, অতি পুরনো ইঞ্জিন পথে বিকল হয়ে যাওয়া, লঞ্চে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকা ভেতরের পানি নির্গত করার মেশিন না থাকার কারণে বর্ষায় দুর্ঘটনায় শত শত নর-নারী-শিশু মৃত্যুবরণ করে থাকে। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, অধিকাংশ জলযানের কোন পারমিট নেই। নেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিপরীতমুখী থেকে সন্ধ্যার পরে যাত্রা শুরু করে সারা রাত চলাচল করে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে গতিপথ হারিয়ে চরে আটকে থাকে। এতে লঞ্চের তলা ফেটে ডুবে গিয়ে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা অতি পুরনো। বর্ষা মৌসুমে বিপজ্জনক আবহাওয়া উপেক্ষা করেও প্রায় সকল নৌযান আইনের তোয়াক্কা না করে বড় বড় নদ-নদী ও সাগর মোহনায় চলাচল করে। অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ চালক বা সারেং কোন বিপদ সঙ্কেতকে পরোয়া না করে টার্মিনাল ছেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ ও নৌযান সমিতি চোখ বন্ধ করে পকেট ভারি করে যাত্রীদের মৃত্যুমুখে অগ্রসর হতে বাধ্য করে থাকে। নৌদুর্ঘটনা রোধে হামজার মতো উদ্ধারকারী জলযান ও নৌযান মেঘনা এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এবং চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পাথরঘাটা, বরগুনা ও মঙ্গলায় সর্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে। মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, ভোলা, শরীয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও এসপিদের লঞ্চযাত্রার প্রতি নজরদারি রাখতে হবে সর্বক্ষণ। এবার ভরা বর্ষায় ঈদ উৎসবে অসংখ্য যাত্রী দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নৌপথে যাতায়াত করবে। কর্তৃপক্ষ ও মালিকপক্ষকে এখন থেকে পূর্ব-সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। অবহেলা ও গাফিলতির শাস্তি হত্যার শামিল। সরকারের যথাযথ দফতর, অধিদফতর, সংস্থা ও মন্ত্রী মহোদয়গণ পরামর্শটি গ্রহণ করে কর্মপন্থা ঠিক করবেন এটাই প্রত্যাশা। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×