ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার পাটচাষীরা দুশ্চিন্তায়

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২০ জুন ২০১৫

দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার পাটচাষীরা দুশ্চিন্তায়

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলে পাটের আবাদ ভাল হলেও ভরা মৌসুমে টানা বৃষ্টির অভাবে বেশ কিছু এলাকায় কাক্সিক্ষত উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে পাটগাছের বৃদ্ধি দারুণভাবে ব্যাহত হয়। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক লাখ ৮৯ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চলতি মৌসুমে প্রকৃত আবাদ হয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩৬ হেক্টরে, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছর দক্ষিণাঞ্চলে পাটের প্রকৃত আবাদ হয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার হেক্টরেরও কম জমিতে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলায় যেখানে দুই লাখ আট হাজার ২৯৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়, সেখানে ঠিক পরের অর্থবছরেই তা এক লাখ ৯৪ হাজার ২৫৭ হেক্টরে হ্রাস পায়। গত বছরও বৃষ্টির অভাবে বৃহত্তর ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পাটের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনও দারুণভাবে ব্যাহত হয়। এমনকি এ অঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার পাটগাছের বর্ধন সীমিত হয়ে পড়ে মাটির আর্দ্রতার অভাবে। চলতি মৌসুমে সারাদেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরাও পাট নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। যে কারণে এবার দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পাট আবাদ হয়। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাসহ মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তারপরও গত কয়েক দিনের হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ দেখে কৃষকরা কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। বরিশাল কৃষি অঞ্চলের বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, নিবিড়ভাবে পাটের জমি পর্যবেক্ষণসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার জন্য মাঠকর্মীরা কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, বৃষ্টির অভাবে পানি সঙ্কটের আশঙ্কায় কৃষকরা পাট পচানো (জাগ) নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে মাঠকর্মীরা তাকে জানিয়েছেন।
×