ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চার ভুয়া পুলিশ ও ৪ ছিনতাইকারী আটক

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২০ জুন ২০১৫

চার ভুয়া পুলিশ ও ৪ ছিনতাইকারী  আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রমজান ও ঈদ কেন্দ্র করে রাজধানীতে ছিনতাই মোকাবেলায় ঢাকা মহাগর পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। শুক্রবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, রমজান ও ঈদে আমাদের কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হচ্ছে ছিনতাই। ছিনতাকারীরা রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ভিকটিমদের তুলে নিয়ে কাছের টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। পরে তাদের নির্জন স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এর ফলে ছিনতাই মোকাবেলায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এলাকা থেকে চার ভুয়া ডিবি পুলিশ ও শাহবাগ থেকে চার ছিনতাইকারীকে আটক করে। এই গ্রেফতারকৃত ৮ জনের বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে শুক্রবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গ্রেফতারকৃত ভুয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে শহীদুল ইসলাম গাজী ওরফে মিঠু, মোঃ মনির গাজী ওরফে টুলু, তারা মিয়া ও মোঃ আবুল কালাম। তাদের কাছ থেকে একটি রেডিও ওয়াকিটকি, দুটি খেলনা পিস্তল, এক জোড়া হাতকড়া ও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্নভাবে জনগণকে তল্লাশির নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত। তারা কখনও বাধার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিকভাবে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যেত। তাদের সহযোগীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মনিরুল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়। এরা হচ্ছে মোঃ অলি উল্লাহ, মোঃ মহিদুল ইসলাম ওরফে মোমিন বকশী, মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে কানা ও মোঃ নায়েব আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রো বক্স মডেলের একটি গাড়ি ও গাড়ির ভেতর থেকে ছুরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীদের বরাত দিয়ে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, অলি উল্লাহ ছিনতাই চক্রের প্রধান। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত গাড়িটির মালিক তিনি নিজেই। প্রতিদিনই ওই গাড়িতে যাত্রী উঠিয়ে জিম্মি করা হতো। পরে ওই যাত্রীর টাকা পাওয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এরপর তার আত্মীয়স্বজনদের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হতো। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হতো। সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল জানান, ঢাকা মহানগরীতে আরও কয়েকটি ছিনতাই চক্র রয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা জানিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×