ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোজাদার’ নতুন অভিনয় শিল্পীদের প্লাটফর্ম ॥ দীপু হাজরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ জুন ২০১৫

‘রোজাদার’ নতুন অভিনয় শিল্পীদের প্লাটফর্ম ॥ দীপু হাজরা

অনেক জনপ্রিয় নাটকের পরিচালক দীপু হাজরা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ‘থ্রি কমরেডস’ নাটকটি নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। ঈদের সফল নাটক নির্মাতা হিসেবেও খ্যাতি আছে তার। প্রতিবছর রমজান উপলক্ষে নির্মাণ করেন ধারাবাহিক ‘রোজাদার’ নাটক। এবারেও তার পরিচালনায় নাটকটি একুশে টিভিতে গতকাল থেকে প্রচার শুরু হয়েছে। নাটক ও অনান্য প্রসঙ্গে পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়। ‘থ্রি কমরেডস’ প্রচার শেষ হয়েছে, এরপরের ব্যস্ততা কী নিয়ে? দীপু হাজরা : আমার নিজের চ্যানেল একুশে টিভির জন্য প্রতিবারের মতো এবারও ধারাবাহিক ‘রোজাদার’ নাটক নির্মাণ করছি। নাটকটি ইতোমধ্যে প্রচার শুরু হয়েছে। প্রতিবছর রমজান উপলক্ষে ‘রোজাদার’ করছেন, দর্শকদের সাড়া কেমন? দীপু হাজরা : নাটকটি ২০০৯ সালে প্রথম শুরু করি, যা এবার ৭ বছরে পড়ল। এ নাটকে দর্শকদের ব্যপক সাড়া পেয়েছি। অনেকেই এ নাটকের প্রশংসা করেছেন। সেই তাগিদ থেকে প্রতিবছর এ নাটক নির্মাণের উৎসাহ পাই। ৫ মিনিটের নাটক জনপ্রিয়তার প্রমাণ মেলে যখন ঢাকার বাইরে যাই। অনেকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিশেষ করে মুরব্বিদের সঙ্গে, তারা এটাকে ভালভাবে গ্রহণ করেছেন। ‘রোজাদার’ নাটক দর্শক কেন দেখে বলে আপনার ধারণা? দীপু হাজরা : নাটকের পুরো কনসেপ্টই রোজাকে নিয়ে। ৩০ দিন রোজার সাধারণ ভুলত্রুটিগুলো ৫ মিনিটে নাটিকা আকারে অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। নাটকের প্রতিটি পর্বই একটি আলাদা আলাদা গল্প থাকে। পরবর্তীতে একজন মুফতী কিংবা মাওলানা ওই বিষয়ের ওপর কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। এ কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে যিনি রোজা রাখেন তিনি এ নাটকটি দেখেন। আমি মনে করি যারা দেখেননি তাদের নাটকটি দেখা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে প্রচার হওয়া ধারাবাহিকগুলো দর্শক টানছে নাÑ এর কারণ কী? দীপু হাজরা : আমি মনে করি খ- নাটক, টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক নাটক যাই বলেন সব চলে গেছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা বা বিজ্ঞাপন হাউস বা চ্যানেলগুলোর কাছে। কারণ চ্যানেল বা বিজ্ঞাপনী হাউসগুলোই নিজেরা নাটক তৈরি করে দেয় তাদের মতো করে, তাদের নির্বাচিত শিল্পীদের মাধ্যমে, অথবা তাদের পণ্যের প্রচারের স্বার্থে। সুতরাং সাধারণ দর্শকরা কি চায় সেই হাউসগুলোর সেটা খেয়াল থাকে না। তারাই আর্টিস্ট, গল্প, কিংবা লোকেশন ঠিক করে দেয়। সুতরাং ডিরেক্টররা চাইলেও ভাল কিছু করার সুযোগ এবং সময় কোনটাই থাকে না। পাশাপাশি যারা কাজ করছে তারা নানা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হচ্ছেন। চ্যানেল বেড়েছে কিন্তু আর্টিস্ট কিংবা ভাল মেকার তৈরি হয়নি। ভাল গল্পকারেরও অভাব যথেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে আমরা ডিরেক্টররা যে কোন কাজের ক্ষেত্রে যতœশীল নই। অনেক অনেক ডিরেক্টর আসছেন কিন্তু পরিপক্ব হয়ে আসছেন না। সব মিলে আমি মনে করি দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী নাটক তৈরি হচ্ছে না বলেই দর্শকরা সেটা পছন্দ করছে না। ‘রোজাদার’ নাটকে দু’একজন ছাড়া বাকিরা সবাই নতুন? দীপু হাজরা : নাটকের মানুষ হিসেবে আমি সারাবছর যে নাটকগুলো নির্মাণ করে থাকি সেগুলোতে নতুনদের সুযোগ খুব কম থাকে। রোজাদার নাটকটি নতুন অভিনয় শিল্পীদের প্লাটফর্ম। কারণ এ নাটকের অভিনয়শিল্পীরা পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিচালকের নাটকে কাজের সুযোগ পান। আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী? দীপু হাজরা : ঈদের পর ড. শেখর সমাদ্দারের লেখা ‘আশ্রয়’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের চিন্তা করছি। এছাড়া ঈদের জন্য নাটক নির্মাণ করব। -সাজু আহমেদ
×