ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড্রোনে মশা নিধন

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৯ জুন ২০১৫

ঝলক

মশার কামড়ে জীবন অতিষ্ঠ। ঠিকমতো বসা যায় না, ঘুমানো যায় না। অনেক সময় ডেঙ্গুসহ নানা মারাত্মক রোগেও ভুগতে হয় এদের কামড়ে। কি যে অসহ্য যন্ত্রণা। এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কত কসরৎই না করতে হয় মানুষকে। সামান্য মশার ভয়ে মশারি নামক খাঁচার মধ্যে বন্দী হয়ে থাকতে হয় ঘুমের সময়। আর জেগে থেকে কয়েল, ব্যাট, স্প্রে দিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হয় মশার বিরুদ্ধে। হাত দিয়ে মশা মারার বিষয়টি তো আছেই। কিন্তু এতে রেহাই পাওয়া যায় না। এজন্য এখন মশার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মশা মারতে কামান দাগা এ বাগধারাটিরই প্রতিফলন যেন এ পরিকল্পনা। মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট ‘প্রোজেক্ট প্রিমনিশন’ নামক এক প্রকল্প নিয়েছে ড্রোন দিয়ে মশা মারার জন্য। শহরে কোন বিষাক্ত মশা এলে ড্রোন মশাটিকে চিহ্নিত করবে, এরপর ঘুুরে ঘুরে মশাটিকে ধরে আনবে পরীক্ষার জন্য। এতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াবাহিত মশার হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। ছাগল ধরাল চোর ছাগল চুরি নতুন কিছু নয়। গাড়িতে করে ছাগল চুরি তাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু ছাগল চোরকে ধরিয়ে দিয়েছে, এটা শুধু নতুনই নয়, চমকপ্রদও। বোকা বলে কাউকে সম্বোধন করতে ছাগল শব্দটিই বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু ছাগল যেভাবে চোরকে ধরাল, তাতে এই প্রাণীটিকে আর বোকা বলা যায় না। গাড়িতে করে তিন ছাগল চোর এসেছিল আদ্রায়। চুপিসারে দুটি ছাগলকে গাড়িতে তুলেও ফেলে তারা বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গেই। কিন্তু তিন নম্বর ছাগলটিকে ধরতে গেলেই বাধে বিপত্তি। ছাগলটিকে পাকড়াতে গেলেই এটি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে চিৎকারজুড়ে দেয়। সেই চিৎকার এতই জোরাল ছিল যে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। মানুষ দেখে তিন চোর পড়িমড়ি করে দেয় ভৌ দৌড়। দু’জন চম্পট দিতে সক্ষম হলেও একজনকে আটক করে গ্রামবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর মালিক এসে নিয়ে যায় ছাগলটিকে। ছাগলের উপস্থিত বুদ্ধি দেখে উপস্থিত জনতা, পুলিশ এমনকি ছাগলটির মালিকও হতবাক। বইয়ের মলাটে মানুষের চামড়া ঔপনিবেশিকতার সময়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বিষয়টা নতুন নয়। সাম্রাজ্য বিস্তারে তখন ইউরোপীয় শক্তিগুলো মানুষের সঙ্গে পশুর মতোই আচরণ করত। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করল। মানুষের চামড়াই মিলল বইয়ের মলাটে! যা দেখে বিজ্ঞানীরাও বাকরুদ্ধ। মানুষকে দিয়ে এও কী সম্ভব। ঘটনা খুলে বলা যাক। হার্ভাডের লাইব্রেরির বেশকিছু পুরনো বইয়ের মলাট নিয়ে এমন সন্দেহ। মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল এমন মলাট; যা আপাদমস্তক মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধানো। বিজ্ঞানীরা এমন বই ওল্টাতেও ভয় পাচ্ছিলেন। এমন ঘৃণ্য ঘটনা তাদের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল। এ রহস্যের জট খুলতেই ঠা-া স্রোত বয়ে গিয়েছিল তাদের। আনথ্রোপোড়াবমিক বিবলিওপেগি নামের এমন বইগুলো সব সপ্তদশ শতকের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, চিকিৎসকদের পরামর্শেই মানুষের চামড়ায় বাঁধানো এমন বই। মৃত মানুষের কোন কিছুই নষ্ট না করে তা যেন কাজে লাগানো যায়, এই ছিল তাদের পরিকল্পনা। এমন তিনটি বই পাওয়া যায় হার্ভার্ডের লাইব্রেরিতে। রোমান কাব্য, ফরাসী দর্শন ও মেডিয়াভেল স্পেনীয় আইনের এসব বইয়ে প্রকাশনা সংস্থার কোন নাম দেয়া হতো না। সাধারণ মানুষ যেন প্রকাশকদের নাম না জানতে পারে, তাই বিষয়টি গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন করা হতো। কেএফসিতে ইঁদুর ভাজা চিকেনের নামে খাওয়ানো হচ্ছে ইঁদুর; তাও আবার আস্ত ফ্রাই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটেছে এমন ঘটনা। ক্রেতা প্যাকেট খুলে আবিষ্কার করেন এমন ইঁদুর ফ্রাই। তাও আবার লেজ সমেত, যা দেখে সন্দেহ হয় ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ডেভোরাইজ ডিক্সনের। তিনি অভিযোগ করেন, ডীপ ফ্রায়েড চিকেনের অর্ডার দিয়ে তার ভাগ্যে জুটেছে ইঁদুর ভাজা। বাসায় ফিরে যখন লেজ দেখতে পান তখন তার সন্দেহ হয়। এরপর বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বুঝতে পারেন, চিকেনের নামে তাকে ইঁদুর ফ্রাই দেয়া হয়েছে। অগত্যা ফাস্টফুড চেন কঋঈ আউটলেটে গিয়ে অভিযোগ করেন ডিক্সন। কঋঈ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে বিষয়টি অভিহিত করলে তিনি ডিক্সনের কাছে ক্ষমা চান এবং চিকেনের নামে সত্যিই যে ইঁদুর ভাজা পরিবেশন করেন বিষয়টি স্বীকার করেন।
×