ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আর এম দেবনাথ

‘বাজেট সমঝোতার দলিল’ ॥ অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৯ জুন ২০১৫

‘বাজেট সমঝোতার দলিল’ ॥ অর্থ প্রতিমন্ত্রী

যে সংসারে আয় বাড়ে কম আর ব্যয় বাড়ে বেশি সেই সংসারের শেষ পরিণতি কী? একটা হচ্ছে ধার করে চলা, অবশ্য যদি অব্যাহতভাবে ধার পাওয়া যায়। পাওয়া না গেলে সম্পদ বিক্রি করে চলা, তাও যদি থাকে। না থাকলে ভিক্ষা মাগা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে সংসার বা পরিবারের উদাহরণ রাষ্ট্রের বেলায় খাটে না। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণভাবে ধার করার ক্ষমতা প্রায় অসীম যদিও বিদেশে ধার করাও কঠিন কাজ। আমাদের ক্ষেত্রে দুটো ঋণই কার্যকর। এ কারণে টিকে আছি! উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে, বিগত ১৩ বছরে জিডিপির তুলনায় আমাদের মোট রাজস্ব আয় আট দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৮ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটে দুই শতাংশ বৃদ্ধি। এই ১৩ বছরে আমাদের সরকার গেছে তিনটিÑ দুটি দলীয় এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকার নির্বিশেষে আমাদের এই অবস্থা। বিপরীতে রাজস্ব ব্যয়ের অবস্থা কী? ১৩ বছরে ‘জিডিপি’র তুলনায় আমাদের রাজস্ব ব্যয় ১২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ মোটে দুই শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির বিপরীতে খরচ বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ফল? ফল হচ্ছে জিডিপির তুলনায় বাজেট ঘাটতি ১৩ বছরের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ। বিগত ১৩ বছরে বাজেট ঘাটতি (২০০৭-০৮ বাদে) কখনও চার শতাংশে পৌঁছেনি। কিন্তু ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই ঘাটতি ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটেও ঘাটতি ৫ শতাংশই ধরা হয়েছে। এসব খারাপ খবরের মধ্যে ভাল খবর একটা আছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ১৭ গুণ। ২০০১-০২ অর্থবছরে ‘এডিপি’র আকার ছিল ১৪ হাজার ৫শ’ কোটি আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘এডিপি’র আকার অবশ্য হবে ৯৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী বছরের হিসাব আমরা বিবেচনায় আনছি না। দেখা যাচ্ছে ২০০১-০২ অর্থবছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মধ্যে এডিপির আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ১৭ গুণ। কেবল বিগত ছয় বছরে ‘এডিপি’র আকার বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। এটি একটি ‘পারফরম্যান্সই’ বটে। কিন্তু এর দ্বারা মূল বিষয় ঋণের প্রশ্নটি বিবেচনার বাইরে নেয়া যায় না। দেখা যাচ্ছে খরচ বাড়ছে, ‘এডিপি’ও বাড়ছে। অর্থাৎ ‘এডিপি’ বা উন্নয়নের টাকা আসছে ঋণ থেকে। সরকার কোনভাবেই ‘এডিপি’র পুরো টাকা রাজস্ব উদ্বৃত্ত থেকে সংগ্রহ করতে পারছে না। কেন? উপরে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব একটাই। আমরা কর রাজস্ব আশানুরূপভাবে বাড়াতে পারিছ না। আবার প্রশ্ন কেন? এর উত্তর পাওয়া যাচ্ছে মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী মান্নান সাহেবের সাম্প্রতিক একটা বক্তব্য থেকে। সজ্জন ব্যক্তি। তিনি জাতীয় সংসদের ‘আইপিডি’ সম্মেলন কক্ষে এক বাজেট আলোচনায় বলেছেন, “বাজেট নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলেন। কিন্তু আমাদের হাত-পা বাঁধা। এ সমাজে অনেকেই আছেন গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে টাকা পাচার করেন। টিভি দখল করে বসে আছেন। এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই সমস্যা হয়। তাই সরকারকে ধনী, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ সব শ্রেণীর সঙ্গে আপোস করতে হয়। বাজেট একটি আপোসের দলিল। তবে দুর্নীতি ও চুরি ঠেকাতে পারলে বাজেটের ‘খোলনলচে’ পাল্টে দেয়া সম্ভব।” এসব মন্তব্যের বাইরেও তিনি বাজেট বিষয়ক নানা দিকে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। আমি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে দুটো জিনিস পাচ্ছি। বাজেট সমঝোতার দলিল। দ্বিতীয়ত. চুরি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। বাজেট যে সমঝোতার দলিল এ কথা কেউ অস্বীকার করবে না। কিন্তু সমঝোতার পাল্লাটা কোন্দিকে ভারি সেটিই প্রশ্ন। দৃশ্যত বোঝা যাচ্ছে পাল্লাটা ধনীদের দিকেই। এটা কোন কল্যাণকামী সরকারের নীতি হতে পারে না। বাজেটের কর প্রস্তাবগুলো দেখলে বোঝা যাবে এটা পরোক্ষ করের দিকে ভারি। শিল্পায়ন ও রফতানির কথা বলে সকল সুযোগ-সুবিধা ব্যবসায়ীদের ঘরে তুলে দেয়া হচ্ছে। অথচ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় স্বীকার করছেন পতাকাওয়ালা গাড়ি দিয়ে টাকা পাচার হচ্ছে। এরা মিডিয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে নিয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষের বাঁচার পথ কী? পরোক্ষ করের মাধ্যমে কর আদায় করার জন্য তো সরকারের দরকার হয় না। এটা সচিবরাই ভাল করে করতে পারেন। পরোক্ষ কর, উৎসে অগ্রিম আয়কর কর্তন এগুলো তো সহজ কাজ। এতে ধনীরা উপকৃত হয়, গরিবরা ক্ষতিগ্রস্ত। এখন সমঝোতা করে যদি সংবিধান বানিয়ে একটা সোনার পাথর বাটি তৈরি করা হয়, সমঝোতা করে যদি বেদখলী জায়গায় ব্যবসায়ীদের বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়, সমঝোতা করে যদি ব্যবসায়ীদের সারা বাংলাদেশে জমি দখলের অনুমতি দিতে হয়, তাহলে তো বিপদ, মহাবিবাদ। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, সব যদি ‘চাটার দলের’ হাতে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ বাঁচবে কী করে? মিডিয়া দখল কিভাবে হলো? সরকারই তো এর জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। ব্যাংক বিক্রি কিভাবে হয়? সরকারই তো এর জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। সমঝোতা দরকার, তবে তা নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের পক্ষে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের কথা শুনুন, তিনি কী বলছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় তিনি বলছেন আয় বৃদ্ধি মানে কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর আয়বৃদ্ধি নয়, আয়বৃদ্ধি মানে ‘হেজ ফান্ডের’ ব্যবস্থাপকের আয়বৃদ্ধি নয়। গণতন্ত্র মানে ‘কর্পোরেট ডেমোক্রেসি নয়। এত উন্নতির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসব কথা উঠেছে। উঠেছে মধ্যবিত্তকে রক্ষা করার কথা। ওবামাও এসব কথা বলছেন। আমাদের দেশে এই অল্প সময়ের মধ্যেই এসব কথা উঠছে। আওয়ামী লীগ সরকার ধনীদের সরকার নয়। আওয়ামী লীগ গরিবের দল, আওয়ামী লীগ লুঙ্গিওয়ালার দল। এই দলের কাছ থেকে সমঝোতা আশা করা হয় গরিবের পক্ষের সমঝোতা। মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী, এ বিষয়টি এখনই ভাবার বিষয়। সবকিছু ধনীদের হাতে চলে যাচ্ছেÑ অর্থনীতি, ব্যবসা, দল, সরকার এবং সংসদ। এ ব্যাপারে ভাবার সময় এখনই। বিস্ফোরণ কিন্তু বলেকয়ে হয় না! আরেকটা কথাÑ সেটা হচ্ছে দুর্নীতি ও চুরি। দুর্নীতি ও চুরি দেশের আইনে দ-নীয় অপরাধ। এটা ‘মানি লন্ডারিং’ প্রিভেনশন আইনের বিষয় যা কঠোর একটা আইন। এই আইন বলবত থাকতে চুরি ও দুর্নীতি হয় কিভাবে? এই আইন বলবত থাকতে বিদেশে টাকা পাচার হয় কিভাবে? এসব আমার প্রশ্ন। আবার বিপরীত প্রশ্নও আছে। আজকে দেশে বিশাল একটা বাণিজ্যিক খাত গড়ে উঠেছে। শিল্প-কারখানা হয়েছে। ব্যাংক-বীমা কোম্পানি গড়ে উঠেছে। অ-ব্যাংক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, বেসরকারী স্কুল ইত্যাদি হয়েছে। বড় বড় মল ও শপিং সেন্টার হয়েছে। বিশাল বস্ত্র কারখানা সব হয়েছে, পোশাক কারখানা হয়েছে। এ কথা তো জানা যে, ১৯৭২ সালের পূর্বে আমাদের কোন পুঁজি ছিল না। এখন একটা নতুন ব্যাংক করতে ৪০০ কোটি টাকা মূলধন লাগে। তারপরও শত শত দরখাস্ত পড়ে ব্যাংক করার জন্য। এখন প্রশ্ন, মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী, এত টাকা কোত্থেকে এলো বাঙালীর ঘরে? কেয়ারটেকার সরকারের আমলে দিনের পর দিন বহু লোকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা বানানোর অভিযোগের কথা ছাপা হয়। আমরা এসব বিস্ময়ের সঙ্গে পাঠ করেছি। এখন দেখা যাচ্ছে এদের অনেকেই বিশাল বিশাল শিল্পপতি। খবরের কাগজে তাদের ইন্টারভিউ ছাপা হয়। নামকরা ‘স্মাগলার’। বিশাল ব্যবসায়ী হাউসের মালিক এখন। কয়েক হাজার কোটি টাকা তাদের সম্পদ। তারা সবাই হাজার হাজার লোকের চাকরির সংস্থান করেছেন। একটা ভিজিটিং কার্ড দেখলে মাথা গরম হয়ে যায়। ৩০-৩৫ বছরের যুবকÑ বিশ-ত্রিশটা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর, দুবাই ইত্যাদি দেশে খোলাখুলি ব্যবসা করছেন বাঙালীরা। এসব তো চোখের সামনে। রাতারাতি এত টাকার মালিক তারা কিভাবে হলেন? আমি যে কথাটি বলতে চাই এই সমস্ত লোকের একাংশই শিল্প করছেন, ব্যাংক করছেন, বীমা করছেন, গার্মেন্টস করছেন। এরাই লাখ লাখ লোকের চাকরি দিচ্ছেন। অথচ এদের টাকার উৎস কেউ আমরা জানি না। দেখা যাচ্ছে দুর্নীতি, বেদখল, পরের ধন অপহরণ, ভূমিদস্যুতা যারা করছে তাদের একাংশই আবার শিল্পপতি। লোকে বলে এটাই নাকি ‘প্রাইমারি এ্যাকুমুলেশন অব ক্যাপিটাল’। এটাই হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, আমরা কি শিল্পায়ন চাই ন্যায্য টাকা দিয়ে? ন্যায্য টাকা কোথায়? করের খাতায় দেখানো টাকা কয়জনের আছে? টাকা আছে, ‘মগর’ হজে যাওয়ায় টাকা কয়জনের আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের শিল্পায়ন, ব্যবসার উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে চোরাচালান, দুর্নীতি ও চুরির টাকা। এই দুর্নীতি, চুরি, পরের ধন অপহরণ, সম্পত্তি জোর করে দখল ইত্যাদি ব্যবসা শুরু হয়েছে ১৯৪৭ সালে। তারপর ১৯৭১ সালে। এখন ব্যাংকের টাকা মারার ব্যবসা, সাহায্যের টাকা মারার ব্যবসা। এসব বড়ই বাস্তব সত্য। অতএব, আমাদের স্থির করতে হবে আমরা দুর্নীতির টাকা শিল্পে বিনিয়োগ করতে দেব কি-না। দেখা যাচ্ছে বাছবিচারহীনভাবে ‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের সুবিধা দেয়ায় দুর্নীতিবাজরাও শিল্পে ঢুকে পড়ছে। অথচ দেশে রয়েছে ‘মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন আইন’। এই আইনে দুর্নীতির বিচার আছে। এই আইন থাকতে আমরা অবৈধ টাকাকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারি না। অথচ দেখা যাচ্ছে এখানেও ‘সমঝোতা’ করা হচ্ছে। এর বিচার কী? বিচার নেই। চোখ বুজে সব সত্য সহ্য করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। দুর্নীতির টাকা বলতে কী বোঝায়? কর ফাঁকি দেয়া, ভ্যাট ফাঁকি দেয়া, আন্ডার-ওভার ইনভয়েসিং করা, বিদ্যুত ও গ্যাস বিলের টাকা চুরি করা, কমিশন ব্যবসা করা কি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে? জমি দখল, বাড়ি দখল কি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে? ‘পজিশনে’ থেকে সরকারকে কর না দিয়ে দুই কোটি টাকার গাড়ি আমদানি করার কাজ কি দুর্নীতি নয়, সমাজের শ্রেষ্ঠ লোকদের বাদ দিয়ে সরকারী আনুকূল্যে বহুমূল্যের দশ-পাঁচ কাঠা জমি বরাদ্দ দেয়া কি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া নয়? পজিশনে থেকে বিনা মূলধনে পরের মূলধনে ব্যাংক-বীমা-বিশ্ববিদ্যালয়-কোস্টারের মালিক হওয়া কি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে? এসব প্রশ্ন পরিষ্কার হওয়া দরকার। দুর্নীতির টাকা শিল্পে বিনিয়োগ করে হাজার লোকের চাকরি দিলে তা কি অভিযোগ থেকে খালাসের উপযুক্ত? এসব প্রশ্ন জড়িয়ে আছে শিল্পায়নের সঙ্গে। এসব কথা, অভিযোগগুলো পরিষ্কার করা দরকার। আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেভাবেই হোক আমাদের দেশে শিল্পায়ন ও ব্যবসা উন্নয়নের সঙ্গে দুর্নীতির টাকা মিশে গেছে। দুটোকে আলাদা করা খুবই কঠিন। নৌকার মাঝির ছেলে বাদ বিনা শ্রমে, মেধায় ও প্রতিযোগিতায় টিভির মালিক হয়, ডজন ডজন বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারে, তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে এই টাকা তিনি পেলেন কোথায়? আর এই প্রশ্ন তুললে শিল্প, ব্যবসা, ফ্ল্যাট-বাড়ি কিছুই থাকে কি? আমি কোন পক্ষ-বিপক্ষ নিচ্ছি না। সরকারকে বলব এ বিষয়ে একটা ‘পজিশন’ নিতে। শুধু চুরি-দুর্নীতি, ঘুষ ইত্যাদি বলে আত্মতৃপ্তি না পেতে। মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী, সিলেটে তো অনেক চা বাগান আছে। এগুলোর মালিক আগে কে ছিলেন আর এখন কে? কিভাবে এই মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত রয়েছে শিল্পায়ন ও ব্যবসা উন্নয়নে বাঙালীর উদ্যোগের প্রশ্নটি। তাই নয় কি? লেখক : ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ও সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×