ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খন্দকার মাহ্বুবুল আলম

মুনাফা লোটার দিন

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৮ জুন ২০১৫

মুনাফা লোটার দিন

পবিত্র মাস রমজানে ভোক্তা বা ক্রেতা সাধারণের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ থাকে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারও তাই। এক শ্রেণীর মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কাছে রমজান মাসটা হচ্ছে অধিক মুনাফা লাভের মোক্ষম সুযোগ এবং এক ধরনের কালচার। এ সময়ে বাজারদর শুনে ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস ওঠে। কারণ ব্যক্তির আয়ের সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে না। ইফতারির প্রধান আকর্ষণ ছোলা। এর সঙ্গে তেল মরিচ লবণ, চাল-ডাল, পেঁয়াজ রসুন, মাছ-মাংস ইত্যাদি তো আছেই। কিন্তু এসব বাজার দরের সঙ্গে অনেকেই পেরে উঠতে পারেন না। রমজান মাস এলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। কোন জিনিসের দাম একবার বৃদ্ধি পেলে তা কমার লক্ষণ থাকে না। এ ফাঁকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর উন্নতি হতে থাকে। অপরদিকে গরিব নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়ে নিঃস্ব হতে থাকেন। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন কারণ না ঘটলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে চাহিদাকৃত পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে রাখেন। কৃত্রিম উপায়ে এমন বাজারদর বৃদ্ধি করার কারণে দেশের জাতীয় অর্থনীতিও কৃত্রিম সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। পবিত্র মাহে রমজানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক যেখানে বাজারদর ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার অনুকূলে রাখার প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে উল্টোটাই এখন চলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত। যে সব অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকেন, তারা ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা তাড়িত হলেও নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকে অতিশয় দুর্বল। যেখানে লোভ লালসার মাত্রা অধিক থাকে, সেখানে নৈতিকতা থাকে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বাজার পর্যায়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে একদিকে যেমন গরিব নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না, তেমনি অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লুটে নেবেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসা দরকার। চট্টগ্রাম থেকে
×