ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিষেকের অপেক্ষায় গোলাপি বল

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১৮ জুন ২০১৫

অভিষেকের অপেক্ষায় গোলাপি বল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাদা পোশাকের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৭৭ সালে। ১৩৮ বছরে অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছে আভিজাত্যের টেস্ট-অঙ্গন। তাতে নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার অপেক্ষা। আগামী নবেম্বর-ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে দিবারাত্রির আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ। যেখানে কুলীন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড। ফ্লাডলাইটের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে প্রস্তুত গোলাপি বল। এতদিন চিরাচারিত নিয়মে সাদা বলে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ হয়ে আসছিল লাল বলে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) উদ্যোগে তাতে, প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে এই গোলাপি বল। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গোলাপি বল প্রস্তুতকারক কোম্পানি কোকাবুরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্রেট এলিয়ট, ‘শেষ পাঁচ বছর ধরেই অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে এমসিস, ইসিবি ও সিএ গোলাপি বলে প্রচুর সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশের জন্য এটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। যদিও অনেকে বলটির দৃশ্যমানতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। কিন্তু আমরা গোলাপি ও সাদা দুটি বলের ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করেছি। ফলে এটা আগের চেয়েও উজ্জ্বল হয়েছে। এছাড়া যতভাবে সম্ভব বলটিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। আশা করছি মাঠের ক্রিকেটার থেকে, গ্যালারির দর্শক কারই দেখতে সমস্যা হবে না।’ এটা ঠিক যে, দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে কেবল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডেই নয়, ব্যাপক পরীক্ষা-নীরিক্ষা হয়েছে ইংল্যন্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। এরই মধ্যে দু’দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে গোলাপি বল ও ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও থেকে খুব বড় অভিযোগ আসেনি। দুই বোর্ডের সম্মতিতে বছরের শেষদিকে এ্যাডিলেড অথবা হোবার্টের যে কোন এক ভেন্যুতে হবে বহুল আলোচিত প্রথম ডে-নাইট টেস্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৃষ্টি ও আলোর স্বল্পতার জন্য পাঁচদিনের টেস্ট ভালমতো শেষ হতে পারে না। ফলহীন আভিজাত্যের ক্রিকেট দিন দিন আকর্ষণ হারাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যেই নতুন এই পদক্ষেপ। অবশ্য বিতর্কও কম নয়। খোদ নিউজিল্যান্ডেও বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকে মনে করছেন, এতে টেস্ট তার স্বকীয়তা ও মর্যাদা হারাবে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রধান (এনজেডসিপিএ) নির্বাহী হিথ মিলস জানিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নয় ব্ল্যাক ক্যাপস ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কয়েক মাস আগে আমাদের অনুরোধ জানিয়েছিল যাতে আমরা এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের মতামতটা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু ফল যা এসেছে, তাতে এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি ডে-নাইট টেস্ট খেলার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের মনোভাব সমর্থনসূচক নয়!’
×