ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২১ জুন পর্যন্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৮ জুন ২০১৫

কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২১ জুন পর্যন্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জালিয়াতি, সার্ভারে সমস্যাসহ নানান জটিলতায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণে কলেজ ভর্তিতে অনলাইনে ও এসএমএসে আবদনের সময়সীমা আগামী ২১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশেই আজ এ আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কলেজ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সময় বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় শিক্ষা বোর্ড। এদিকে অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে প্রতিদিনই জটিলতায় পড়ছে শিক্ষার্থীরা। আবেদনে জটিলতার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগের রীতিমতো বস্তা জমেছে ঢাকাসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডে। বোর্ড কর্মকর্তারা গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেও পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। জটিলতার কারণে দুদিন ধরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বোর্ডগুলোর কাছে সময় বৃদ্ধির আবেদন জানাচ্ছিলেন। বোর্ডের কাছে সমস্যার তথ্য আসছিল অন্যান্য মাধ্যমে থেকেও। অনেক কলেজের শিক্ষকরাও বোর্ডে গিয়ে একই দাবি করেছেন। তারা বলছেন, আবেদন জমার শুরুর দিন থেকেই অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএসে আবেদন করতে সমস্যা হচ্ছে। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করে নিজ কলেজের নাম শিক্ষার্থীদের পছন্দের এক নম্বর তালিকায় রাখে। এই অভিযোগে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজও করেছে ঢাকা বোর্ড। এ অবস্থায় রাজধানীর ট্রাস্ট কলেজের পক্ষ থেকে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবদেন করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াটি নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ইতোমধ্যে সুধীমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে এই পদ্ধতিটি প্রথমবার প্রয়োগ করা হচ্ছে বিধায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত হতে এবং নিজেদের তৈরি করতে কয়েকদিন চলে গেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীর অজান্তে তার পক্ষে অনৈতিকভাবে কোন কোন প্রতিষ্ঠান পছন্দের অনুক্রমের তালিকায় নিজ প্রতিষ্ঠানকে ১ নম্বর ক্রমিকে বা একমাত্র পছন্দ রেখে আবেদন প্রেরণ করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নানান জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে এবং এই সম্পর্কে বোর্ডও অবগত। তাই অনলাইন ও এসএমএস পদ্ধতিতে আবেদনের জন্য যে সময় নির্ধারিত ছিল বর্তমান পরিস্থিতিতে তা পর্যাপ্ত নয় বলে আমরা মনে করি। অনলাইন ও এসএমএস পদ্ধতিতে আবেদনের সময় ২১ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি আমরা। একই কথা বলেন মিরপুর বাংলা কলেজে অধ্যক্ষ বদরুদ্দিন হাওলাদার ও তেজগাঁওয়ের নাজনীন স্কুৃল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামও। এদিকে আবেদনে জটিলতা কথা তুলে প্রতিদিনই শিক্ষা বোর্ডে লিখিত আবেদন করছে শত শত শিক্ষার্থী। বুধবারও ঢাকাসহ বিভিন্ন বোর্ডে জমা পড়েছে কয়েকশত শিক্ষার্থীর আবেদন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথমবারের মতো চালু কলেজে ভতির অনলাইন আবেদনের প্রক্রিয়া যাকে বলা হচ্ছে ‘স্মার্ট এডমিশন সিস্টেম,’ শুরুতেই এই স্মার্ট সিস্টেমের আনস্মার্ট আচরণে সংকট তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন করতে হলে িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সাল এন্ট্রি করলে আবেদন ফরম পাওয়া যাচ্ছে। বিধান অনুসাারে একজন শিক্ষার্থী পাঁচটি কলেজ পছন্দ করতে পারবে। আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রার্থী একটি আবেদনের আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবে। এরপর টেলিটকে ১৫০ টাকা ফি পাঠাতে হবে।
×